কমলালেবুর খোসার মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই তেল থাকে। এই তেল যেমন ট্যান তুলে দিতে পারে তেমনই ত্বককে মসৃণ রাখে। কমলালেবুর খোসা বাটার সঙ্গে মুসুর ডাল বাটা মিশিয়ে নিন। এই প্যাক খুব ভাল স্ক্রাবিং এর কাজ করে
শীত মানেই বাজারে রঙিন সবজি আর ফলের মেলা। কমলালেবু, আপেল, ন্যাশপাতি, বেদানা এসব ফলে বাজার ভরে যায়। এছাড়াও গাজর, পালং, মূলো, শিম, বেগুন, পেঁয়াজকলি এসব সবজিও এখন এসেছে বাজারে। শীতে দূষণ বাড়ে, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যে কারণে এই সময় ত্বক সবচেয়ে বেশি নোংরা হয়। এই সময় ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। এবার মুখ ঠিকমতো ধোওয়া না হলে ওর উপর ধুলো, বালির স্তর জমতে থাকে। এতে ত্বকে বায়ু চলাচল করার সুযোগ পায় না। চামড়া ফাটে কুঁটকে যায়। শীত এলে আবহাওয়ার কারণেই ত্বকে বেশি টান ধরে। পা ফাটে, চামড়া শুকিয়ে যায়। তাই এই সময় ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
কাজের প্রয়োজনে অধিকাংশ মানুষই এখন এসির মধ্যে বেশি সময় থাকেন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা আরও বেশি নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাড়িতেও নিয়মিত রূপচর্চা করতে হবে। শীতের দিনে খুব ভাল কাজ করে কমলালেবুর খোসা। এই সময় বাজারে প্রচুর পরিমাণ লেবুও পাওয়া যায়। এই লেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে এই সব উপায়ে কাজে লাগান রূপচর্চাতে।
কমলালেবুর খোসাতে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। যা আপনার মুখে হওয়া ব্রণর বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণ মুক্ত করে তোলে। কমলালেবুর খোসা ছাড়িয়ে তা এককাপ জলে ফুটিয়ে নিন। সেই জল ছেঁকে একটু ঠান্ডা করে নিয়ে মুখে লাগান। এতে অনেক কাজ হবে।
কমলালেবুর খোসার মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই তেল থাকে। এই তেল যেমন ট্যান তুলে দিতে পারে তেমনই ত্বককে মসৃণ রাখে। কমলালেবুর খোসা বাটার সঙ্গে মুসুর ডাল বাটা মিশিয়ে নিন। এই প্যাক খুব ভাল স্ক্রাবিং এর কাজ করে।
আবার কমলা লেবুর খোসা বাটা, কাঁচা দুধ, লেবুর রস, চন্দন গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার তা সারা মুখে লাগিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে মুখ অনেক বেশি নরম থাকবে। শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফেরাতেও কমলালেবুর খোসার কোনও তুলনা নেই। খোসা বেটে টকদই এর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন। ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতেই উজ্জ্বল হবে ত্বক।