সর্বশেষ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কুয়াশার নির্জনতায় ঢেকেছে

Pickynews24

ক্যাম্পাসের প্রতিটি করিডর যেন সেই রূপসজ্জার সাক্ষী। তবে যে ঋতুই থাকুক না কেন, প্রতিটি রাতই শীত যেন ছুঁই ছুঁই করে। এবার সেই শীতকালই চলে এল বলে। সময়ের বেশ আগেই শীত দুয়ারে এসে দিল নাড়া। ক্যাম্পাসের বিশাল দেহটা ঢেকে গেছে কুয়াশার নির্জনতার চাদরে। শীতের আমেজকে বাড়িয়ে দিতে ক্যাম্পাসের কেয়ার মার্কেট ও শেষ মোড়জুড়ে বসতে শুরু করেছে পিঠার দোকান।ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষে বিশাল এলাকাজুড়ে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার আঁতুড়ঘর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এটি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, যাকে প্রতিটি ঋতুতে নতুন করে সাজতে দেখা যায়।

সকালবেলা নির্জনতা যেন কুয়াশা ধোঁয়ায় ঢেকে দেয় সবকিছু। সেই কুয়াশার নির্জনতা ভেঙে গর্জন করতে করতে আসে ট্রেন। দিন যত গভীর হয়, নীল আকাশে কুয়াশা মিলিয়ে যায়। বিশাল দানবাকৃতির সাদা মেঘপাল আর সূর্যের তির্যক হাসিতে উষ্ণতা বেড়ে যায়। তবে বিকেল নামতেই সূর্যের হাসিটা মলিন হয়ে আসে। দূর থেকে ঠান্ডা বাতাস আর হালকা মেঘের কুয়াশার পাল ছুটে আসে। এই যেন ছেয়ে গেল ক্যাম্পাসের হল, উদ্যান, করিডর। রাতের সঙ্গে সঙ্গে আবারও কুয়াশার নির্জনতায় লুকিয়ে পড়ে সবকিছু।

এবার শুরু হয় শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাকাডাকি। তবে ক্যাম্পাসে শিয়াল, সাপ, বানর আর এত রকম পাখির বসবাস, সেটা টের পাইয়ে দেয় শীতের নির্জনতম রাতগুলো। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও অনেকেরই ক্লাস করতে ছুটতে হয় সকাল আটটায়। সকালে শিশিরভেজা রাস্তা মাড়িয়ে গরম কাপড় জড়িয়ে ক্লাস করতে যাওয়াটা অনেকের কাছে বেশ উপভোগ্য। এ সময় রাস্তায় দেখা মেলে গরুর পাল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠের সামনে দেখা যায় গরু চরানোর সেই দৃশ্য। শীতের সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা বেশ জমে। তাই আড্ডাবাজদের জন্য বেশ প্রিয় শীতের সন্ধ্যা।

অনেকের কাছে শীতের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ক্যাম্পাসের পিঠা। দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে পাওয়া যায় শীতের বিভিন্ন রকম পিঠা। আর শীতের এই পিঠার স্বাদ নিতে সারাক্ষণ এসব দোকানে ভিড় লেগেই থাকে চোখে পড়ার মতো।

শীতের প্রখরতা, রুক্ষতা আর শুষ্কতা নাকি প্রকৃতিকে করে তোলে রূপহীন! তবে প্রকৃতির প্রাচুর্যে বেষ্টিত এই ক্যাম্পাসে কখনোই রূপলাবণ্যের কোনো ঘাটতি হয় না। হাড়ে মৃদু কাঁপন ধরানো হিমেল বাতাসের মধ্যেও শীতপ্রেমীদের ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।

শীত বাড়লে হলগুলোতে শুরু হবে ব্যাডমিন্টন খেলা। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে খেলা। সন্ধ্যা হলেই হলের কমনরুমে সময় কাটায় অনেক শিক্ষার্থী। তবে হলের শিক্ষার্থীদের রাতে কার্ড খেলার প্রতি টান সব সময়ই তীব্র।

Related posts

iPads 17 অক্টোবর প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে

Samar Khan

আল্লাহ নারীদের পুরুষের বেশ ধারণকারিণীদের অভিশাপ দিয়েছেন

Asma Akter

পায়খানা বা বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ তাহরিমি

Asma Akter

Leave a Comment