ইসলাম ধর্ম

সুস্থ রাখার উদ্দেশ্যে পোষা বিড়ালের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করা কি জায়েজ?

pickynews24

যারা বিড়াল পোষেন তারা অনেক সময় পোষা বিড়ালের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করার প্রয়োজন অনুভব করেন। বিড়ালের আক্রমণাত্মক আচরণ কমিয়ে বিড়ালকে শান্ত করা, ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমানো, অন্যান্য বিড়ালের সাথে ঝগড়া, মারামারি থেকে রক্ষা করা এবং বিভিন্ন রোগবালাই থেকে রক্ষা করা, দীর্ঘায়ু ও সুস্থ রাখার উদ্দেশ্যে সাধারণত পোষা বিড়ালের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করা হয়।

ইসলামে বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে বা কোনো ক্ষতি থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে পোষা প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করা জায়েজ। তবে বিনা প্রয়োজনে আল্লাহর কোনো সৃষ্টিজীবের জন্ম বিস্তার রোধ করা এবং তাকে কষ্ট দেওয়া বৈধ নয়। ফতওয়ায়ে হিন্দিয়ায় এসেছে, মানুষ ও ঘোড়া ছাড়া অন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে বন্ধ্যাকরণে যদি উপকার হয় তাতে দোষের কিছু নেই। যদি তাতে কোনো উপকার না হয় বা ক্ষতি প্রতিহত না করা হয় তাহলে তা হারাম। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৫৭)

পোষা বিড়ালকেও যদি বিশেষ প্রয়োজনে বা ক্ষতি রক্ষার উদ্দেশ্যে স্পে বা নিউটার করা হয়, তাহলে এটা জায়েজ। (স্পে ও নিউটার ছোট এক ধরনের অস্ত্রোপচার যার মাধ্যমে পশুচিকিৎসক বিড়ালের প্রজননতন্ত্র ফেলে দেন। ফলে তারা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। মেয়ে বিড়ালের অস্ত্রোপচারকে বলে স্পে আর ছেলে বিড়ালের অস্ত্রোপচারকে বলে নিউটার)।

রাসুলের (সা.) সুন্নাহ থেকে ছাগল বা ভেড়াকে খাসি করার অনুমোদন পাওয়া যায়। আয়েশা (রা.) ও আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোরবানির ইচ্ছা করলে দুটি মোটাতাজা, মাংসল, শিংযুক্ত, ধুসর বর্ণের ও খাসিকৃত ভেড়া ক্রয় করতেন। তারপর এর একটি নিজের উম্মাতের পক্ষ থেকে, অপরটি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে কোরবানি করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২২)

Related posts

জেনে নিন কখন ‘ইনশাআল্লাহ’ বলতে হয়

Asma Akter

কিছু পাপ এত ভয়াবহ যে তার শাস্তি এ জীবন থেকেই শুরু হয়ে যায়

Asma Akter

নামাজের সময়সূচি: ৪ মার্চ ২০২৪

Asma Akter

Leave a Comment