শারীরিক অবস্থার সঙ্গে মনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের বাইরে থাকা বর্তমান জীবনব্যবস্থায় খুবই কঠিন। তবে আমাদের লক্ষ্য হবে মানসিক চাপ কমিয়ে বা চাপমুক্ত হয়ে জীবন চলার পথে অগ্রসর হওয়া।
ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওঠাপড়া ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া, শরীর এবং মন— দুটির জন্যই ভালো নয়। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধূমপান এবং মদ্যপানে লাগাম টানার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কাজ অভ্যাস করার পরামর্শ দেন মনোবিদেরা। তবে মনে রাখতে হবে এ সবই ঘরোয়া এবং একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সমাধান। উদ্বেগের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।
প্রকৃত হাসি আপনার মানসিক চাপ কমায়। তাই যতদূর সম্ভব আমাদের হাসি মুখে থাকা উচিত। ল্যাভেন্ডার সৌরভ যেমন ল্যাভেন্ডার এয়ার ফ্রেশনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
গান মানসিক চাপ কমায়। গান ব্রেনে ডোপামিন নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে থাকে, যা আপনার মুডকে উজ্জীবিত করে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। এর সাথে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যয়াম আপনার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।
সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। পছন্দের যে কোনো বিষয় নিয়ে দিনের অন্তত ১ ঘণ্টা চর্চা করুন। গল্পের বই পড়া, গান করা, সিনেমা দেখা, ডায়েরি লেখা — যে কোনো কাজই করতে পারেন। উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েরি লেখার পরামর্শ দেন মনোবিদেরা।
সামাজিক বন্ধন এবং বন্ধুত্ব মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আপনার কোনো ভাল বন্ধু থাকলে বা আপনজন কাউকে আপনার সমস্যার কথা খুলে বলুন, দেখবেন মানসিক চাপ ধীরে ধীরে কমে যাবে। তবে আপনার বন্ধু বা আপনজন যদি স্বার্থপর হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমার বদলে বরং বেড়ে যাবে। তাই আপনার বন্ধু বা আপনজন কে তা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।
শারীরিক ভাবে সক্রিয় না থাকলে শরীরে কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। মন ভালো রাখতে সাহায্য করে যে ‘হ্যাপি হরমোন’ তার ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো শরীরচর্চা।