চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল স্মার্ট স্কুলবাসের।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠ থেকে একটি ‘স্মার্ট স্কুল বাস’ যাত্রা শুরু করে। এসময় বাসে চট্টগ্রাম নগরের ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী ছিল। তাদের প্রত্যেকেই স্মার্ট কার্ড চেপে বাসে ওঠে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এটি সড়কে চলবে। চলতি বছরের জন্য বাসগুলোতে প্রতিজন শিক্ষার্থী ৫ টাকা মূল্যে যাতায়াত সুবিধা পাবে।
জেলা প্রশাসন জানায়, শিশু-কিশোরদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতে এ উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রামকে দেশের প্রথম স্মার্ট জেলা গড়ার প্রত্যয়ে উদ্বোধন করা স্কুল বাসে প্রেজেন্সলেস, পেপারলেস ও ক্যাশলেস প্রযুক্তিসহ সব ডিভাইস সংযুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বাসা ওঠা বা নামার সময় হাজিরা যন্ত্রের সামনে স্মার্ট কার্ড চাপ দিলেই খুদে বার্তা পাবেন অভিভাবকরা। এছাড়াও ঘরে বসেই জিপিএস ট্র্যাকিং ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে বাস ও শিক্ষার্থীর অবস্থানও দেখা যাবে। নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত, অভিভাবকদের ভোগান্তি কমানোর জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, নগরের ১০টি স্কুলবাসে জিপিএস ট্র্যাকার, জিআইএস প্রযুক্তি, ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইস ও আইপি ক্যামেরা স্থাপন করে ‘স্মার্ট’ করা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ-২০২৩ এর আওতায় প্রথম পুরস্কার পায় এই প্রকল্পটি। প্রাথমিকভাবে একটি বাস উদ্বোধন করা হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে ১০টি স্কুল বাস সড়কে চলবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারবেন। এছাড়া সড়কে যানজটও অনেক কমে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন বলেন, প্রকল্পটি চালু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণে এই প্রকল্প দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং শিক্ষার্থীরা আরও বেশি লাভবান হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন রাশেদ মোস্তফা, জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহিম।