মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বই উৎসব নিয়ে এখন আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যেহেতু ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। নির্বাচনের পরের সময়টা আসলে কেমন থাকবে, সেটাও আমাদের একটু বিবেচনায় নিতে হবে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়। সে কারণে এবার বই উৎসবটা ঠিক ১ তারিখে করবো, নাকি নির্বাচনের পরে ১০ থেকে ১১ তারিখ করবো, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি। সার্বিক অবস্থাটা বিবেচনায় নিয়ে খুব শিগগির সেটা জানাতে পারবো।
বই ছাপানোর কাজ শুরু না হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যেগুলো এখনো ছাপানো শুরু হয়নি। সেগুলো সব ছাপানো শুরু হয়ে যাবে। বই উৎসব যখনই করি না কেন, শতভাগ বই শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
লটারি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির ফলে ভর্তি বাণিজ্য, সমতা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আজকে যে লটারিটা হচ্ছে, সেটাও আরো পরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা নভেম্বরের মধ্যেই এটা শেষ করছি আজকে। আবার বার্ষিক পরীক্ষা, বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নও এগিয়ে এনে দ্রুত শেষ করছি। নির্বাচনের আগের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি সেটা আমাদের অবশ্যই মাথায় নিতে হবে, বিবেচনা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে যেসব এমপিওভুক্ত স্কুল সরকারের সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের এমপিও স্থগিত করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা ও তাকে প্রস্তুত করা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে স্কুলের ভর্তির জন্য তাকে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে এবং পরীক্ষায় পাশের জন্য কোচিং করতে হচ্ছে।