ঢাকাই সিনেমার জগতে ১৩ বছরের পথচলা তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল ও বর্ষার। ২০১০ সালে পর্দায় আগমনের পর এখন পর্যন্ত ৮টি সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন দু’জন।
ঢালিউডের আলোচিত এ নায়ক হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজকে অনুসরণ করেন। শুধু তা-ই নয় টম ক্রুজ আরব আমিরাতের সুউচ্চ ভবন থেকে লাফ দিয়েছিলেন যেমন তেমনিভাবে অনন্ত জলিলও লাফ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি দেবে না বলে সে পথে পা বাড়াননি।একেবারে যে পিছুটান দিয়েছিলেন তা নয়। তাঁর ভাষায়, টম ক্রুজ যদি এত উঁচু থকে লাফ দিতে পারেন, তাহলে তিনি কেন পারবেন না? এ কারণেই অনন্ত থাইল্যান্ডের বহুতল ভবন থেকে লাফ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে অনন্ত জলিল বলেন, ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিনেমায় টম ক্রুজ যখন বুর্জ আল খলিফার চূড়া থেকে লাফিয়ে পড়েন, তখন থেকেই এ রকম উঁচু বিল্ডিং থেকে লাফ দেওয়ার ইচ্ছা আমার। বুর্জ খলিফায় ওরকম শুটিং করতে আমাদের দেবেও না কেউ। টম ক্রুজ বলে হয়তো দিয়েছে। আমি চিন্তা করলাম থাইল্যান্ডের এমন উঁচু একটা বিল্ডিং থেকে শট দেব।
চিত্রনায়ক জলিল আরও বলেন, ব্যাংককে পাতু নামে এমন একটি ভবন রয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তারা নানা কারণে রাজি হচ্ছিল না। তারাও অনুমতি দিল না। পাতায়ায় ২৩ তলা একটি বিল্ডিং ভাড়া নিলাম। ২৩ তলা থেকে লাফিয়ে পড়তে আমি যখন পুরোপুরি প্রস্তুত, লাফ নয় ঠিক, বিল্ডিংয়ে পা দিয়ে হেঁটে নেমে যাওয়া। ও (বর্ষা) যখন কার্নিশের কাছে গিয়ে দেখল আমাকে। তখন এসে বলল, ‘তুমি এই শট দিতে পারবে না। এটা কিছুতেই সম্ভব না’। আমি বললাম, সবকিছু রেডি, শট দিতে পারব না মানে? আমাকে শট দিতেই হবে। বর্ষা তখন মন খারাপ করে ক্যারাভানে এসে বসে রইল। বলল, আমাকে শট দিতে দেবে না।
অনন্ত জলিল বলেন, ‘সবসময় এ ধরনের কাজ করতে চাই। আরেকজন করতে পারলে আমি কেন পারব না? এ ধরনের কাজ আমার মনে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমা দিয়ে পর্দায় অভিষেক হয় অনন্ত জলিল ও বর্ষার। এরপর একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন এই জুটি। খুব শীঘ্রই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাদের সর্বশেষ সিনেমা ‘নেত্রী দা লিডার’। যেখানে অনন্ত-বর্ষা ছাড়াও রয়েছেন বলিউডের কবির দুহান সিং, তরুণ অরোরা ও প্রদীপ রাওয়াত। পাশাপাশি ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াতসহ তুরস্কের অভিনয়শিল্পীদেরও দেখা যাবে এই সিনেমায়।