বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও ডাক অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অ্যাপ তৈরি করেছে। আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) স্মার্ট বাংলাদেশ দিবসে এটি চালুর কথা জানানো হয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ বা প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগে অসমতা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার উদ্দেশ্যে এ অ্যাপ আনা হচ্ছে। ‘সাথীর’ মাধ্যমে মোবাইল এয়ার টাইমভিত্তিক সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, স্মার্ট আর্টিকেল কালেকশন (চিঠি, ডকুমেন্ট, পার্সেল), স্মার্ট মোবাইল ডাকঘর এবং স্মার্ট পোস্ট বক্সের মতো স্মার্ট সেবা পাওয়া যাবে।
অ্যাপলের সিরি কিংবা আমাজনের অ্যালেক্সার মতো’ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ হিসেবে চালু হচ্ছে ‘সাথী’। এর কাছ থেকে ব্যবহারকারী সব ধরনের তথ্য পাবেন। এটুআই উদ্ভাবিত এআই প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই অ্যাপ বিনামূল্যে প্রতিটি মোবাইলে ডাউনলোডে বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। সরকারের সব ধরনের ডিজিটাল সেবা, পেমেন্ট সেবা ইত্যাদি এতে সংযুক্ত থাকবে। ফলে নাগরিকেরা মোবাইলে আগের চেয়ে সহজে বেশি কাজ করতে পারবেন।
স্মার্ট ও ফিচার ফোন—দুই ফোনেই সাথী ব্যবহার করা যাবে। এটি অ্যাপ স্টোর বা প্লে–স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে। ডাউনলোড করতে যাতে ব্যবহারকারীর কোনো ধরনের ডেটা (ইন্টারনেট) খরচ না হয়, সেই ব্যবস্থাও থাকবে। সাথী যাতে মোবাইলে খুব বেশি জায়গা না নেয় সেটা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।
যেসব ব্যবহারকারী ইউএসএসডি বা অন্যান্য ফিচার ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, সাথীকে মুখে বললেই কানেক্ট করিয়ে দেবে সেসব সেবায়। কলসেন্টার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও কথা বলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সাথী। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে বেসরকারি অপারেটর ও বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রের সঙ্গেও সংযোগ করা যাবে। এতে করে মোবাইলে বিভিন্ন সেবার জন্য বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার কমে আসবে।
সাথীর বিভিন্ন ফিচার পর্যায়ক্রমে গ্রাহকের কাছে উন্মুক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাথী ইনস্টল করা থাকলে নতুন কোনো ফিচার এলেই প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা আপডেট হবে।