ইসলামে জুমার দিন সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। মুসলমানদের জন্য জুমার দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)
আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে জানা যায় ফেরেশতারা জুমার দিনটিকে ‘ইয়াওমুল মাযিদ’ বা ‘প্রাচুর্যের দিন’ বলেন। কারণ জান্নাতে এ দিন আল্লাহ তাআলা তার জান্নাতি বান্দাদের প্রভূত নেয়ামত ও সম্মান দান করবেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একদিন জিবরাইল (আ.) আমার কাছে এলেন শুভ্র আয়নার মত একটা জিনিস নিয়ে। আয়নাটিতে একটি কালো দাগ। আমি বললাম, এটা কী? তিনি বললেন, এ হচ্ছে জুমার দিন, যে দিনকে আল্লাহ আপনার ও আপনার উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন। এ দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যে কল্যাণই প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাকে তা-ই দান করেন।
নবিজি (সা.) বলেন, আমি বললাম, জুমার দিনকে কালো দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হলো কেন? জিবরাইল (আ.) বললেন, জুমার দিন কেয়ামত সংঘটিত হবে। আমরা একে ‘ইয়াওমুল মাযিদ’ বা প্রাচুর্যের দিন বলি। আমি বললাম, ‘ইয়াওমুল মাযিদ’ কী? জিবরাইল (আ.) উত্তর দিলেন, জান্নাতে আল্লাহ তাআলা প্রশস্ত ও সুগন্ধময় একটা উপত্যকা বানিয়েছেন। সেখানে শুভ্র মেশকের একাধিক টিলা স্থাপন করেছেন। জুমার দিন আল্লাহ তাআলা এ উপত্যকায় অবতরণ করবেন। সেখানে নবিদের জন্য স্বর্ণের মিম্বর রাখা হবে, শহিদদের জন্য মুক্তার অনেক চেয়ার পাতা হবে। ডাগর নয়না হুররা নিজেদের কক্ষ থেকে নেমে আসবে এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও মাহাত্ম্যের স্তুতি গাইতে থাকবে।