বাংলাদেশেসর্বশেষ

মানুষের মাসে গড় আয় এখন ৭৬১৪ টাকা

porisogkhan-pickynews24

দেশে একজন মানুষের মাসিক গড় আয় ৭ হাজার ৬১৪ টাকা। ছয় বছরের ব্যবধানে এই আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৬ সালে একজন মানুষের গড় আয় ছিল ৩ হাজার ৯৪০ টাকা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ সালের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। আজ রোববার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল।

বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গ্রামের মানুষের চেয়ে শহরের মানুষের আয় অনেক বেশি। শহরের একজন মানুষের মাসিক গড় আয় ১০ হাজার ৯৫১ টাকা। আর গ্রামের মানুষের আয় অর্ধেকের কাছাকাছি, ৬ হাজার ৯১ টাকা।

একটি পরিবারের সবাই আয় করেন না এবং এমন শিশু-বৃদ্ধ ও নারী আছেন, যাঁরা বাস্তব কারণে কাজ করতে পারেন না। তবে একটি পরিবারে এক বা একাধিক উপার্জনকারী থাকতে পারেন। এসব উপার্জনকারীর গড় আয়ের হিসাবও জরিপে দেওয়া হয়েছে। উপার্জনকারীদের গড় আয় ২৫ হাজার ৭০৭ টাকা। ৬ বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৬৪৬ টাকা। এই হিসাব শুধুমাত্র উপার্জনকারীর আয়ের ভিত্তিতে করা।

একটি পরিবারের মাসিক আয় কত, ব্যয় কত, তা–ও খানা আয় ও ব্যয় জরিপে বলা হয়েছে। বিবিএস বলছে, বাংলাদেশে একটি খানা বা পরিবারের গড় সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ২৬। ওই পরিবারের মাসিক আয় ৩২ হাজার ৪২২ টাকা। মাসে খরচ হয় গড়ে সাড়ে ৩১ হাজার টাকা। খাবারের পেছনে প্রতি মাসে গড়ে ১৪ হাজার ৩ টাকা খরচ করে একটি পরিবার।

এ বিষয়ে বিবিএসের উপপরিচালক এবং খানা আয় ও ব্যয় জরিপ প্রকল্পের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ  বলেন, প্রাথমিক যে ফলাফল এসেছিল, মূল প্রতিবেদনেও তা–ই এসেছে। এবার শুধু একটু বিস্তারিত বলা হয়েছে। গত ছয় বছরে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় আয়-ব্যয়ে পরিবর্তন এসেছে।

এদিকে ধনীদের কাছে সম্পদ আরও পুঞ্জীভূত হওয়ার চিত্র উঠে এসেছে। আয়বৈষম্য আরও প্রকট হওয়ার চিত্রও উঠে এসেছে। দেখা গেছে, দেশের মোট আয়ের প্রায় ৪১ শতাংশ করে থাকেন দেশের সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষ। ২০১৬ সালে আয়ের এই হার ছিল ৩৯। তবে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয়ের অংশীদারত্ব কিছুটা বেড়েছে। এখন দেশের মোট আয়ের ১ দশমিক ৩১ শতাংশ তাঁদের হাতে। ৮ বছর আগে এই হার ছিল ১ দশমিক শূন্য ২।

তবে ধনী মানুষ আরও বেশি আয় করার কারণে আয়বৈষম্যও আগের চেয়ে বেড়েছে। বিবিএসের তথ্য–উপাত্ত অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে গিনি সহগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯ পয়েন্ট। ২০১৬ সালে গিনি সহগ ছিল দশমিক ৪৮২ পয়েন্ট। এটি সাধারণত দশমিক ৫০০ হলেই একটি দেশকে উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বরিশালে দারিদ্র্য বেশি

এখন সার্বিক দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭। ৬ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩। দেশে অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬। ৬ বছর আগে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৯।
এত দিন একটি সাধারণ ধারণা ছিল, দারিদ্র্য বেশি উত্তরবঙ্গে। কিন্তু বিবিএস বলছে, সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্য বরিশাল বিভাগে। এই বিভাগে দারিদ্র্যের হার ২৬ দশমিক ৯। আর সবচেয়ে কম পার্শ্ববর্তী খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে দারিদ্র্যের হার ১৪ দশমিক ৮।

এ ছাড়া দারিদ্র্যের হার ঢাকায় ১৭ দশমিক ৯, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ১৬ দশমিক ৭, সিলেটে ১৭ দশমিক ৪, রংপুরে ২৪ দশমিক ৮ এবং ময়মনসিংহে ২৪ দশমিক ২।

Related posts

পটুয়াখালীতে উচ্ছ্বাস-আনন্দে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা চলছে

Rubaiya Tasnim

তবে কি রিহ্যাবে নেওয়া হয়েছে গায়ক নোবেলকে!

Mehedi Hasan

মৃত স্বামীর শুক্রাণু ব্যবহার করে মা হলেন ৪৮ বছর বয়সী নারী

Suborna Islam

Leave a Comment