ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে আটকের পর তার শরীরে বোমা বেঁধে জোর করে হামাসের সুড়ঙ্গে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে।
গেল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
হাকিম নামের ৩০ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভেতর হামাস যোদ্ধাদের খুঁজতে ইসরাইলি সেনারা তাকে ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
সম্প্রতি ইসরাইলি সেনাদের হাত থেকে মুক্তি পান হাকিম। নিরাপত্তার কারণে নিজের পুরো নাম প্রকাশ না করে তিনি জানান, এক ইসরাইলি সেনা হামাসের একটি সুড়ঙ্গে নিয়ে যাওয়ার আগে তাকে ‘আল্লাহর কাছে’ পাঠাতে চান বলে মন্তব্য করেছিলেন।
হাকিম বলেন, ‘সে (ইসরায়েলি সেনা) আমাকে বিস্ফোরক ভরা একটি বেল্ট পরিয়ে দেয় এবং আমার মাথায় একটি ক্যামেরা বসায়। শুধু তা-ই নয়, আমার কোমরেও দড়ি বেঁধে দেয়া হয়েছিল।’
এরপর তাকে সুড়ঙ্গের ভেতর ঠেলে দিয়ে সেখানে কোনো যোদ্ধা আছে কি না, তা দেখার নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানান হাকিম।
তিনি বলেন,
আমার মাথায় বেঁধে দেয়া ক্যামেরায় কোনো যোদ্ধাকে (হামাসের) দেখা গেলে তারা (ইসরাইলি সেনারা) শরীরে বাঁধা বোমাটি বিস্ফোরণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম যে আমাকে হত্যা করা হবে। কিন্তু টানেলের ভেতর কিছু দেখতে না পেয়ে তারা আবার আমাকে দড়ি ধরে টেনে বের করে।
এ বিষয়ে জানতে মিডল ইস্ট আই-এর পক্ষ থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তারা কোনো মন্তব্য করেনি।