তথ্যপ্রযুক্তিসর্বশেষ

কম্পিউটারের সুরক্ষায় রিস্টার্ট নাকি শাটডাউন, কোনটি করবেন?

computer-pickynews

স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সারা দিনে একবার রিস্টার্ট বা শাট ডাউনের কথা বলা হয়ে থাকে। কম্পিউটারের ক্ষেত্রেও এ রকম বিষয় রয়েছে। ডিভাইসের সুরক্ষায় বা ভালো রাখতে এটি জরুরি। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ, ম্যাকওএসসহ সব অপারেটিং সিস্টেমেই রিস্টার্ট বা শাট ডাউন অপশন দেয়া হয়। তবে এ দুটি কমান্ডের কার্যকারিতা ও বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। সাধারণ শাট ডাউন মানে কম্পিউটার বন্ধ করে দেয়া এবং রিস্টার্ট মানে পুনরায় চালু হওয়া। তবে এ দুটি ব্যাখ্যা ছাড়াও আরো বিস্তারিত বিষয় রয়েছে।

শাট ডাউন: সাধারণ অর্থে শাট ডাউন মানে কম্পিউটার বন্ধ করে দেয়া। কাজ শেষে বা কোনো সফটওয়্যার আপডেট শেষে এ কমান্ড দেয়া হয়ে থাকে। তবে উইন্ডোজ ৮ ও ১০-এর মাধ্যমে এ বিষয় দুটি প্রকাশ্যে এসেছে। আগে দুটো কমান্ডে প্রায় একই রকমের কাজ হতো। পরবর্তী সময়ে দুটো কমান্ড দুই ধরনের কাজ শুরু করে।

রিস্টার্ট: রিস্টার্ট কম্পিউটার সিস্টেমকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় এবং পুনরায় চালু করে। এটি র‍্যাম ও প্রসেসর ক্যাশ পরিষ্কার করে। মূলত কোনো সফটওয়্যার আপডেট হলে বা ড্রাইভার ইনস্টল হওয়ার পর সেটি যেন ভালোভাবে কাজ করে সেজন্য রিস্টার্ট দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে গ্রাফিকসসহ বিভিন্ন ড্রাইভার ইনস্টল হওয়ার জন্যও রিস্টার্ট দেয়ার নোটিফিকেশন দিয়ে থাকে।

দুটো বিষয়ের মধ্যে কখন কোনটি প্রয়োজন সে বিষয়ে জানতে হবে।

প্রথমত যদি কোনো আপডেট বা সফটওয়্যার ইনস্টলের সময় রিস্টার্ট করার পরামর্শ দেয়া হয় তখন শুধু রিস্টার্ট দিতে হবে। সফলভাবে একটি আপডেট শেষ করতে চাইলে সেটিংস থেকে পাওয়ার অপশনে প্রবেশ করে রিস্টার্ট চাপ দিতে হবে। প্রতিদিনের ব্যবহারে অনেক সময় কম্পিউটারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সে সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ডিভাইস রিস্টার্ট দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। এটি উইন্ডোজের ফাইলের সুরক্ষা, টেম্প ফাইল বাতিল করতে এবং আপডেটের সক্ষমতা দিয়ে থাকে।

দ্বিতীয়ত, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের বিদ্যুৎ ব্যবহার ও ব্যাটারি লাইফ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলে শাট ডাউন করে দিতে হবে। বিশেষ করে বৃষ্টি বা ঝড়ের সময় বা বিদ্যুৎ চলে গেলে বেশি সময় ইউপিএস বা ব্যাটারি ব্যবহার করতে না চাইলে কম্পিউটার শাট ডাউন করে দিতে হবে। এছাড়া হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে কম্পিউটার শাট ডাউন বা বন্ধ করে দেয়া ভালো সমাধান। তখন সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকে। ফলে যদি কখনো সন্দেহ হয় যে কম্পিউটারে হ্যাকারের অনুপ্রবেশ ঘটেছে বা ঘটছে তখন কম্পিউটার বন্ধ করে দিলে বাকি কাজ করা সম্ভব হয় না। —রেডিট অবলম্বনে

Related posts

শীত আরও বাড়ল ঢাকায়!

Megh Bristy

বিবাহবার্ষিকীতে সাকিবপত্নী শিশিরের আবেগঘন পোস্ট

Suborna Islam

স্মার্টওয়াচে 4GB স্টোরেজ, দাম মাত্র 4,999 টাকা

Rubaiya Tasnim

Leave a Comment