তেলুগু ছবি পুষ্পা ওয়ান কলকাতার তিলজলা বা তালতলাতেও সুপারহিট। হিন্দি ডাবিংয়েরও দরকার পড়েনি। এমনিই সিনেমার ভাষা সারা বিশ্ব পড়ে নিতে পারে। তার কোনও সীমানা থাকে না। আর এ ছবি টিপিক্যাল দক্ষিণী হলে কী হবে, আখেরে তো ভারতীয়। বড় কথা হল, চার দিকে যখন এতো নেতি নেতি তখন হিরোদের অ্যাংরি ইমেজ আবার মনে ধরছে দর্শকদের। এমন হিরো যিনি পা খুঁড়িয়ে হাঁটলেও মেরুদণ্ড ঋজু ও সোজা। যাকে অক্ষয় কুমারের মতো সহজে প্রলোভন দেখানো যায় না! —পুষ্পা কো ফ্লাওয়ার সামঝে কেয়া! ফ্লাওয়ার নেহি ফায়ার! ফুল ভাবলে ভুল হবে, আসলে আগুন।
জানা গেছে, তেলুগু সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে এক বহুজাতিক মদ উৎপাদনকারী সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছিল, পুষ্পা টু (Pushpa 2: The Rule) ছবিতে আল্লু অর্জুন যতবার বিড়ি ফুঁকবেন বা তামাক চিবোবেন ততবার যেন স্ক্রিনে তাদের লোগো ভেসে ওঠে। অর্থাৎ ব্র্যান্ড ইন্টিগ্রেশন চেয়েছিল ওই সংস্থা। ইদানীং এ ধরনের ইন্টিগ্রেশন আকছার হয়। চাল, ডাল, আটা, হলুদ, লঙ্কা, সোনার গয়না কিছুই বাদ নেই। অর্থাৎ হিরো বা হিরোইনকে দেখা যাচ্ছে দোকান থেকে কোনও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের সাবান বা খুস্কি তাড়ানোর শ্যাম্পু তুলে নিচ্ছেন। ব্যস হয়ে গেল সেটির প্রচার।
কিন্তু জানা গেছে, আল্লু অর্জুন সেই প্রস্তাব পাতে পড়া মাত্র ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। ১০ কোটির প্রলোভন তাঁর গলা দিয়ে নামানো যায়নি। শুধু এ ঘটনা নয়, পুষ্পার প্রথম পর্ব তথা পুষ্পা: দ্য রাইজ মুক্তির পর একটি তামাক সংস্থা তাঁকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করাতে চেয়েছিল, তাও ফিরিয়ে দিয়েছেন আল্লু।
অনেকের মতে এ ধরনের প্রলোভন সামলানো সহজ নয়। শাহরুখ, অজয় দেবগণ এমনকি অক্ষয় কুমারকেও দেখা গিয়েছে, সমাজ বদলের ডাক দিয়ে ছবি বানালেও দিনের শেষে গুটখা বা পান মশলার বিজ্ঞাপন করতে। সেখানে বিবেক বোধ, সমাজ চেতনা সবই অর্থের কাছে ফিকে পড়ে গেছে। বাজার অর্থনীতির যুগে সেই সবের কোনও মূল্য নেই।
তবে আল্লু অর্জুনের ক্ষেত্রে দেখা গেল, মেজাজটাই যেন তাঁর আসল রাজা। পুষ্পা দ্য রাইজের জন্য ইতিমধ্যে সেরা অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আল্লু। এ বছরের গোড়ায় পুষ্পা টু-এ তাঁর ফার্স্ট লুকও প্রকাশ করেছেন এই তেলুগু অভিনেতা। দেখা গিয়েছে তাতে শাড়ি পরে রয়েছেন পুষ্পা। আর মুখে নীল লাল শেডের রঙ করা। হাতে বালা গলায় হার নাকে নোজপিন (ঠিক নাকছাবি বললে ভুল হবে)। ২০২৪ সালের ১৫ অগস্ট মুক্তি পাবে সেই ছবি।