ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে গৃহবধূকে হুমকি দেন ধর্ষক। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণের ভিডিও ফাঁস করে দেয় অভিযুক্ত ধর্ষক।
এঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদরে আত্মহত্যা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ হামিদা আক্তার।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত হামিদা আক্তার মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচক এলাকার হামিদ ঢালীর মেয়ে তার স্বামী প্রবাসে চাকরি করেন। হামিদা আক্তারের ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গেলো ৫ মাস আগে শরীয়তপুর জেলার খাসচর এলাকার সৌদি প্রবাসী শামীন খানের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন হামিদা আক্তার। সম্পর্কের জের ধরে হামিদা আক্তারের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে তা মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন শামীম। সেই ভিডিও হামিদার স্বামীর কাছে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে হামিদাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন শামীম। এক পর্যায়ে হামিদার কাছে চাঁদা দাবি করে সে।
এই ঘটনায় হামিদা আক্তার ১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) মাদারীপুর আদালতে শামীমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সেই মামলার কপি থানায় আসার দিনই হামিদা আক্তার তার বাবার বাড়ির একটি অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার কারখানায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহতের ভাই বলেন, ‘আমার বোনের সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে, এমন আচরণ যেন আর কারো সাথে না করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘শামীম আমার বোনকে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছে।’ এই ঘটনায় দোষীর বিচার দাবি করেছেন তার স্বজনরা।এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে হামিদার দায়ের করা মামলার কপি তদন্তের জন্য থানায় এসেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে দোষীকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও কেউ মামলা দিতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
