মাত্র কয়েক দিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবের। তবে যতবার সুযোগ পেয়েছেন, বল হাতে নিজেকে আলাদাভাবে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন এই পেসার। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছিলেন দুর্দান্ত। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তরুণ এই ফাস্ট বোলার।
এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কিউইরা। টাইগার পেসারদের আধিপত্যে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে মোটের ওপর ২৭ রানই তুলতে পারে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। আর শুরুর দুই উইকেটই নিয়েছেন তরুণ পেসার সাকিব। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নিজের ঝুলিতে পুড়েন আরও এক উইকেট।
সবমিলিয়ে ৭ ওভারে ২ মেইডেনসহ ১৪ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। বল হাতে এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচসেরার পুরস্কারও তার হাতেই উঠেছে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ম্যাচসেরা হওয়ার অনুভূতিটা তার জন্য বিশেষই।
সাকিবের ভাষ্য, নিজের পারফরম্যান্সে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। যেভাবে শুরু করেছিলাম, সেটা ভালো ছিল। বোলিংটা উপভোগ করেছি। বল ভেতরে ঢুকছিল, সিমে পড়ে মুভ করছিল। লাইন ও লেংথ ধরে রেখে চেষ্টা করেছি, উইকেট টু উইকেট বল করার। বাকি কাজ পিচ করেছে এবং সেখান থেকে সাহায্যও পেয়েছি। পেসারদের জন্য এটা দারুণ পিচ। লাইন ও লেংথ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি এবং ভালো লাগছে যে সেটা পেরেছি।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে টাইগার পেসারদের তাণ্ডবে মাত্র ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ দশমিক ১ ওভারেই ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় শান্ত বাহিনী।