কিছু নফল নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে হয়; যেমন শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ, সূর্য ওঠার পর ইশরাকের নামাজ, সূর্য তেঁতে ওঠার পর চাশতের নামাজ, মাগরিবের পর আউওয়াবিন নামাজ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনটি হারাম ওয়াক্ত বা সময় ছাড়া দিনের যেকোনো সময় নফল নামায পড়া যায়।
দুরাকাত বা চার রাকাত করে নফল নামাজ পড়া যায়। নফল নামাজের প্রতি রাকাতেই সুরা ফাতেহার সাথে সুরা মেলাতে হয়। নিয়ত করে শুরু করার পর নফল নামাজ পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। কেউ যদি শুরু করার পর নফল নামাজ ভেঙে ফেলে, তাহলে ওই নামাজটি আবার পড়ে নেওয়া ওয়াজিব।
নফল ও সুন্নাত নামাজগুলো কোনো ওজর বা অসুবিধা ছাড়া বসে আদায় করা জায়েজ। তবে ওজর ছাড়া বসে নামাজ আদায় করলে দাঁড়িয়ে আদায়কৃত নামাজের অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যায়। ইমরান ইবনে হোসাইন (রা.) বলেন, আমি রাসুলকে (সা.) বসে নামাজ আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,
إن صلى قائماً فهو أفضل، ومن صلى قاعداً فله نصف أجر القائم
যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তবে তাই উত্তম। আর বসে নামাজ আদায় করলে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যাবে। (সহিহ বুখারি: ১১১৫)
ফরজ ও ওয়াজিব নামাজগুলো দাঁড়িয়ে আদায় করা জরুরি। কোনো ওজর বা অসুবিধা ছাড়া ফরজ-ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করা বৈধ নয়।