হামাসকে নির্মূল করা, আবার একইসঙ্গে তাদের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি করা অপ্রাসঙ্গিক বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর চার জ্যৈষ্ঠ কমান্ডার।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানান তারা। তবে এই কমান্ডারদের কেউই নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই কমান্ডাররা জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে তারা অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারা আরও জানান, রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, হামাসের সঙ্গে কোনো চুক্তি ছাড়া জিম্মিদের উদ্ধার কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ নিয়েও কথা বলেছেন কমান্ডাররা। তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর আগে তারা ভেবেছিলেন গাজায় হামাসের ১০০ মাইল সুড়ঙ্গ রয়েছে। কিন্তু এখন তারা বুঝতে পারছেন ছোট্ট এ উপত্যকায় ৪৫০ মাইলেরও বেশি সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে হামাস। আর সুড়ঙ্গগুলো এতটাই জটিল যে, যদি সেখানে কোনো জিম্মিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয় তা হলে তাদের জীবিত উদ্ধারের কোনো নিশ্চয়তা নেই।
হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারলেও দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে ইসরাইলি সেনারা।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৫ নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৮০ জন। এর ফলে মোট নিহতের সংখ্যা ২৫ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) ছিল ইসরাইলের গাজা আগ্রাসনের ১০৬তম দিন। আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, আগের দিনগুলোর মতো এদিনও রাত থেকেই গাজার ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী।
শনিবার হতাহতের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, নতুন করে আরও ১৬৫ জন নিহত ও ২৮০ জন আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ৯২৭ জন। আহত হয়েছেন ৬২ হাজার ৩৮৮ জন।