বাংলাদেশে কৃষি খাতের পরে এগিয়ে রয়েছে পোশাক খাত। অর্থাৎ বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প সবচেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সময়ে। পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়ে এর চাহিদা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বজুড়ে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে। গত বছরের ছিল দ্বিতীয় নম্বর পজিশনে। কিন্তু সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়ে এখন প্রথম পজিশনে এসেছে বাংলাদেশ পোশাক শিল্প। এইতো বেশ কয়েকদিন আগে পোশাক শিল্প নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। এ বিষয় সম্পর্কে যারা জানতে ইচ্ছুক তারা নিচের দোয়া আর্টিকেল প্রবেশ করুন। বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো দেখে নিন।
গার্মেন্টস হেলপারের বেতন কত
গত বছরের প্রথম দিক থেকে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছিল গার্মেন্টসের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের কারণে। এরপর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই আন্দোলন জোরালো হয়। দফায় দফায় বেশ কয়েক জায়গায় প্রচুর আন্দোলন হয় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি দেখা যায়। মূলত গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত একজন গার্মেন্ট শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ছিল ৮২০০ টাকা। মুদ্রা স্ফীতি কারণে নিত্য প্রতিদিনের জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছিল। সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটা কেনার মত অবস্থা কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল। এদিকে গার্মেন্টসের হেল্পার এবং অপারেটরের মজুরি কম হওয়ার কারণে তারা এই আন্দোলনে ডাক দিয়েছিলেন। বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে দুই থেকে তিনজন শ্রমিক মারা যান। গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি ছিল ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকার করার কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তা করা হয়েছে ১২৫০০ টাকা। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে একজন গার্মেন্টসের হেলপার যা কোম্পানির ন্যূনতম শ্রমিক তাদের ন্যূনতম সেলারি হচ্ছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
গার্মেন্টস হেলপারের কাজ কি
উপরে আপনারা জানলেন হেলপারের বেতন কত সে বিষয় সম্পর্কে। কিন্তু আবার অনেকে জানার আগ্রহ পোষণ করে থাকে তাদের কাজ কি। মূলত গার্মেন্টসে প্রধান প্রোডাকশনের দায়িত্ব পালন করে অপারেটররা। তারা বিভিন্ন ধরনের সেলাইয়ের কাছ থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য কাজ করে থাকেন। তাদের সহকারী হিসাবে যারা কাজ করে তাদেরকেই হেল্পার বলা হয়ে থাকে। মূলত হেলপাররা অপারেটরদেরকে সহযোগিতা করে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে হেল্পাররা অর্থাৎ দক্ষ যারা তারা কাজ করে থাকেন।