নামাজে প্রতি রাকাতে কেরাত পড়া ফরজ। সুরা ফাতেহা পড়া ও সুরা মেলানো ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরও কেউ যদি কোনো রাকাতে কুরআন থেকে কিছুই না পড়ে, তাহলে ওই রাকাতটি পূর্ণ হবে না। ভুল করে সুরা ফাতেহা বা ফাতেহা-পরবর্তী কেরাত না পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে। সাহু সিজদা না দিলে নামাজ আবার পড়া ওয়াজিব হবে।
নামাজে কেরাত পড়তে গিয়ে নামাজ আদায়কারী যদি ভুল করে, তাহলে দেখতে হবে ভুলটি কোন পর্যায়ের বা কতটা গুরুতর? কেরাতের সাধারণ ভুলে নামাজ নষ্ট হয় না। আয়াতের বক্তব্য পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং ইমান-বিরোধী কোনো অর্থ সৃষ্টি হয় এ রকম গুরুতর ভুল করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
কেরাতে কোনো আয়াত বা আয়াতের অংশ বাদ পড়লেও দেখতে হবে ওই অংশ বাদ পড়ার কারণে অর্থের বিকৃতি ঘটেছে কি না, অর্থের বিকৃতি না ঘটলে নামাজের ক্ষতি হবে না।
ভুল করার পর ওই রাকাতেই মুসল্লির লোকমা শুনে বা নিজে থেকেই ইমাম বা একা নামাজ আদায়কারী যদি ভুল ঠিক করে আয়াতটি শুদ্ধভাবে পড়ে, বাদ পড়ে যাওয়া আয়াত বা অংশসহ পড়ে নেয়, তাহলে নামাজ শুদ্ধ হবে।
অর্থ বিকৃত হওয়ার মতো ভুল হওয়ার পর ওই রাকাতে আয়াতটি শুদ্ধ করে না করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। পরবর্তী রাকাতে শুদ্ধ করে পড়লেও নামাজ শুদ্ধ হবে না এবং নামাজটি পুনরায় পড়ে নিতে হবে।