নির্ভরযোগ্য মত হলো, নামাজের শেষ বৈঠকে দরুদ পাঠ করা সুন্নত। এ দরুদ কীভাবে পাঠ করতে হবে তাও আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শিখিয়েছেন। আবু মাসউদ উকবা ইবনে আমের আনসারি (রা.) বলেন, একদিন এক ব্যক্তি এসে রাসুলের (সা.) সামনে বসলেন। আমরা তার কাছেই ছিলাম। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমরা নামাজে সালাত পাঠ করবো কীভাবে? নবিজি কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন। তারপর বললেন, তোমরা এভাবে সালাত পাঠ করো,
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম-মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বারাকতা আলা ইবরাহিম ওয়া আলা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম-মাজিদ।
অর্থ: হে আল্লাহ! উম্মি নবি মুহাম্মাদের ওপর এবং মুহাম্মাদের পরিবারের ওপর রহমত বর্ষণ করুন, যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহিমের ওপর এবং ইবরাহিমের পরিবারের ওপর। উম্মি নবি মুহাম্মাদ ও তার পরিবারকে বরকত দান করুন, যেমন ইবরাহিম ও তার পরিবারকে বরকত দান করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, মহিমান্বিত। (সুনানে দারাকুতনি)
নামাজের শেষ বৈঠকে দরুদ পাঠ করা যেহেতু ওয়াজিব নয়, দরুদ পাঠ না করলেও নামাজ হবে, পুনরায় পড়তে হবে না। কিন্তু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এবং ছেড়ে দেওয়া অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ।