ব্রেন স্ট্রোকের পর রোগী যদি পূর্ণ জ্ঞান ফিরে না পান, এ রকম অবস্থা হয় যে নামাজের সময় মনে রাখতে পারেন না, নামাজ পড়ার সময় রাকাত মনে রাখতে পারেন না, তখন তার ওপর আর নামাজ ফরজ থাকে না। তাই এ সময় তিনি নামাজ পড়তে না পারলে তার নামাজের ফিদিয়া দিতে হবে না।
যে কোনো অসুস্থতার কারণে কেউ যদি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন অথবা শারীরিকভাবে এতটা অক্ষম হয়ে যান যে মাথা নেড়ে ইশারায় নামাজ আদায়ের সক্ষমতাও তার না থাকে এবং এ অবস্থা একদিন ও এক রাতের বেশি দীর্ঘ হয়, তাহলে তার ওপর ওই সময়ে আর নামাজ ফরজ থাকে না।
একজন মানুষ যতক্ষণ ইশারায় নামাজ আদায় করতে পারে, ততক্ষণ সে নামাজ আদায়ে সক্ষম বিবেচিত হয়। মাথার ইশারায়ও নামাজ আদায় করতে পারলে তার কর্তব্য নামাজ আদায় করার চেষ্টা করা, আগের নামাজগুলোও কাজা করার চেষ্টা করা। ইশারায় নামাজ আদায় করার সক্ষমতা থাকা অবস্থায় ওই সময়ের নামাজ বা আগের কাজা নামাজের জন্য ফিদয়া আদায় করা যাবে না। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্তান বা উত্তরাধিকারীদের অসিয়ত করে যাওয়া যায় যে এত ওয়াক্ত নামাজ তার কাজা হয়েছে, কাজা আদায় করার আগে মারা গেলে তারা যেন এই নামাজগুলোর ফিদয়া আদায় করে দেয়।
নামাজের ফিদয়া দেওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ও বিতরের নামাজসহ ছয় ওয়াক্ত নামাজের প্রতিটির জন্য পৌনে দুই সের গম অথবা এর বাজারমূল্য দান করা অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুই বেলা পেটপুরে খাবার খাওয়ানো