তথ্যপ্রযুক্তিসর্বশেষ

সন্তানের স্মার্টফোন ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন

pickynews24

বর্তমানে সব বয়সীরাই স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। বাবা-মা সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন। করোনাকালীন যেই অভ্যাসটা তৈরি হয়েছিল, অনলাইনে ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি তা এখনো যায়নি। তবে সন্তানের হাতে ফোন তুলে দিচ্ছেন। আপনার সন্তান শুধু পড়াশোনার কাজেই নয় ফোনে হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্বহার করছে। খেয়াল রাখছেন তো?

সন্তানের স্মার্টফোন ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন। বিশেষ করে তারা কার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশছে তা খেয়াল রাখুন। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই মানুষ সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বাচ্চারাও তার শিকার হচ্ছে।

আপনি নিশ্চয়ই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে ট্রোলিংয়ের কথা শুনেছেন। যেখানে লোকেরা যে কোনো ধরনের কমেন্ট করতেও পিছপা হয় না। আর তা একপ্রকার সাইবার বুলিং। সাইবার বুলিং হচ্ছে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। ছবি, ভিডিওকে কাজে লাগিয়েও বিভিন্ন জালিয়াতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সাইবার বুলিং এড়াতে ইউনিসেফ কিছু টিপস শেয়ার করেছে। জেনে নিন সেসব-

১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

আপনার সন্তানের সব অনলাইন অ্যাকাউন্টের জন্য একটি শক্তিশালী এবং অনন্য পাসওয়ার্ড সেট করুন। এমন কোনো পাসওয়ার্ড রাখবেন না, যা খুব সহজেই অন্য কেউ জেনে যেতে পারে।

২. ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখুন

৩. আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে শেয়ার করবেন না। এতে যে কেউ সেই সব তথ্যকে ভুলভাবে কাজে লাগাতে পারে। তাই আপনি চেনেন, এমন ব্যক্তির সঙ্গেই শেয়ার করুন। যেমন আপনার পুরো নাম, ঠিকানা বা ফোন নম্বর এই সব।

৪. পোস্ট করার আগে দুবার ভাবুন
অনলাইনে কিছু পোস্ট করার আগে, ভেবে দেখুন সেটি অন্যদের কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আর যদি অচেনা কোনও ব্যক্তি আপনার অ্যাকাউন্টে থাকে, তাহলে তার থেকে ছবি ‘Hide’ করে দিন।

৫. সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন
আপনি যদি সাইবার বুলিং দেখেন, চুপ করে থাকবেন না। এর বিরুদ্ধে আপনার আওয়াজ তুলুন এবং যার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘচছে, তাকেও সাহায্য করুন।

৬. প্রমাণ সংগ্রহ করুন
আপনি যদি সাইবার বুলিং এর সম্মুখীন হন, তাহলে প্রমাণ সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ। স্ক্রিনশট, ই-মেইল এবং মেসেজগুলো সেভ করুন, যা সাইবার বুলিংয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন।

৭. সাইবার বুলিং সম্পর্কে অন্যদের জানান
আপনার বন্ধু, পরিবার এবং সম্প্রদায়কে সাইবার বুলিং সম্পর্কে শিক্ষিত করুন। যদি কেউ ভুল কোনও মেসেজ করে বা কমেন্ট করে, তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিন।

৮. অনলাইনে নিরাপত্তা টুল ব্যবহার করুন
অনলাইনে নিরাপদ থাকতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য অনেক টুল রয়েছে। এই টুলগুলো ব্যবহার করুন। এতে কোনোরকম সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা ঘটলে আপনি জানাতে পারবেন।

৯. সাইবার বুলিং রিপোর্ট করুন
আপনি যদি সাইবার বুলিং এর সম্মুখীন হন, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করুন।

১০. সাইবার বুলিংকে ভয় পাবেন না
মনে রাখবেন আপনি একা নন। সাইবার বুলিং থেকে ভয় পাবেন না এবং এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তবেই আপনি যে কোনো রকম সাহায্য পাবেন।

Related posts

রেকর্ড গড়ল প্লেস্টেশন সোয়া ২ লাখ স্পাইডারম্যান-২, ২৪ ঘণ্টায় বিক্রি করে

Rubaiya Tasnim

নোবেল বিজয়ী নারগিসকে আরও ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিল ইরান

Megh Bristy

শাকিব এর পরিবর্তে ‘কবি’ চরিত্রে রাজ

Suborna Islam

Leave a Comment