মানুষ কেন হাসে?
বৈজ্ঞানিক বর্ণনা:
হাজার হাজার হাসির উদাহরণ নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গেছে, কথোপকথনের ক্ষেত্রে শ্রোতার চেয়ে বক্তার হাসার সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ বেশি। আবার আমেরিকান ফিজিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, দলবেঁধে আড্ডার সময় হাসার সম্ভাবনা ৩০ গুণ বেড়ে যায়। শিশুদের নিয়ে চালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আড়াই থেকে চার বছর বয়সী শিশুরা একা একা কার্টুন দেখলে যতটা হাসে, অন্য কোনো শিশুর সঙ্গে বসে দেখলে তাদের হাসার সম্ভাবনা ৮ গুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়াও দেখা গেছে, হাসির ধরনের বোঝা যায়, মানুষ কতটা ঘনিষ্ট। তাদের সম্পর্ক কত পুরাতন।
স্বাস্থ্যগত উপকারীতা:
হাসির অবশ্য বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারী দিকও আছে। হাসলে আপনার অক্সিজেন ইনটেক, অর্থাৎ দেহের টিস্যুগুলোর অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি হাসলে এন্ডোরফিন নামে একধরনের রাসায়নিক শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এ হরমোন আমাদের খুশির পেছনের কারিগর। খুশির বাড়ানোর পাশাপাশি কমিয়ে দেয় ব্যথা ও দুশ্চিন্তা।