দুধ তো সাদাই হয়, তবে ব্যতিক্রমী এসব পাখির দুধের রং গোলাপি!
জানলে অবাক হবেন, সারা বিশ্বে 10 হাজারেরও বেশি প্রজাতির মধ্যে এমন তিনটি পাখির প্রজাতি আছে, যাদের শরীরে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতো দুধ তৈরি হয়। শুনেই চমকে গেলেন তাই তো? আসলে এমনটাই হয়। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় কী জানেন? এদের দুধ সাদা নয়, গোলাপি হয়।
এত প্রজাতির মধ্যে এমন তিনটি পাখির প্রজাতি আছে, যাদের শরীরে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতো দুধ তৈরি হয়। শুনেই চমকে গেলেন তাই তো? আসলে এমনটাই হয়।পায়রা (Pigeon), ফ্লেমিঙ্গো (Flamingo) এবং এম্পেরিয়র পেঙ্গুইন (Emperor Penguin) এই তালিকায় রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় কী জানেন? এদের দুধ সাদা নয়, গোলাপি হয়।
কারণটা কী?
আশ্চর্যের বিষয় এইসব পাখিদের স্তন নেই। তাই স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো তারা তাদের শরীরে দুধ উৎপন্ন হলেও তা তারা তাদের সন্তানদের খাওয়াতে পারে না। তাহলে কোথায় তৈরি হয় এই দুধ? আসলে, এসব পাখিদের পাচনতন্ত্রের নিচে একটি থলির মতো অঙ্গ থাকে, যেখানে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়। এবার তাদের শরীরের সমস্ত হরমোন উদ্দীপনার কারণে সেই জায়গায় দুধ তৈরি হয়, যাকে বলা হয় প্রোল্যাকটিন।
পায়রা (Pigeon):
পায়রা সাধারণত শহরে বাস করে। যখন তারা ডিম পাড়ে, তখন তাদের শরীরে প্রচুর প্রোটিন এবং চর্বির প্রয়োজন হয়। পায়রা তখন শরীরে দুধ তৈরি করে। ডিম পাড়ার কয়েকদিন আগে থেকেই এটি শুরু হয়। ডিম পাড়ার পর যখন তা থেকে তার সন্তান জন্ম নেয়, তখন সন্তানরা তা পান করে।
ফ্লেমিঙ্গো (Flamingo):
এখানে আশ্চর্যের বিষয় হল, নারী ও পুরুষ উভয় পাখিই তাদের শরীরে দুধ উৎপাদন করতে পারে। ফ্লেমিঙ্গো পাখির দুধ উজ্জ্বল লাল বা গোলাপি রঙের হয়। এর কারণ ক্যারোটিনয়েড। এটি একটি প্রাকৃতিকভাবে ঘটমান জৈব রঙ্গক।
এম্পেরিয়র পেঙ্গুইন (Emperor Penguin):
তেমনই যদি এম্পেরিয়র পেঙ্গুইনের কথা বলা হয়, তাহলে তারাও দুধ দেয়। পুরুষ এম্পেরিয়র পেঙ্গুইন দুই মাস ধরে একটি ডিম দেয়। তারপর তা থেকে সন্তান বের হলে, তাদের সেই দুধ খাওয়ায়।