ইসলাম ধর্ম

শবে কদরে গোসল করার বিদ্বান

শবে কদরে গোসল করার বিদ্বান

শবে কদরে গোসল করার বিদ্বান

লাইলাতুল কদর বা শবে কদরে গোসল করা মুস্তাহাব মনে করার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদর গোসলের বিশেষ কোনো ফজিলতও নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত হয়নি। এ রাতে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বা তার কোনো সাহাবি গোসল করেছেন এ রকম কোনো বর্ণনাও পাওয়া যায় না। তাই এ রাতে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করে গোসল করলে তা বিদআত গণ্য হবে।

কোরআন নাজিল

লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এ রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। কোরআনে ওই রাতের বর্ণনা এসেছে সুরা কাদরে। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আমি এটি নাজিল করেছি ‘লাইলাতুল কদরে।’ তোমাকে কিসে জানাবে ‘লাইলাতুল কদর’ কী? ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত। (সুরা কাদর: ১-৫)

বেজোড় রাতগুলো

লাইলাতুল কদর বা কদরের রাতে ইবাদত করলে হাজার মাস ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায়। রমজানের কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ তা সুনির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়নি। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ রমজানের দিবসপূর্ব রাতগুলোর কোনো একটি রাত লাইলাতুল কদর।

 

Related posts

আজকের নামাজের সময়সূচি: ৭ এপ্রিল ২০২৪

Asma Akter

সাত ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা লাভ করে

Asma Akter

ছোট্ট একটি দরূদ পাঠ করলে তার জন্য রয়েছে অনেক সাওয়াব

Asma Akter

Leave a Comment