পানির পাত্রে বা বালতিতে তেলাপোকা পড়লে
প্রবাহিত রক্ত নেই এ রকম কীট-পতঙ্গ পানিতে পড়লে পানি নাপাক হয় না। তেলাপোকার শরীরে প্রবাহিত রক্ত নেই। তাই পানির পাত্রে বা বালতিতে তেলাপোকা পড়লে তা ফেলে দিয়ে বাকি পানি ব্যবহার করা যাবে। শরীরে প্রবাহিত রক্ত নেই এমন ছোট টিকটিকিপানিতে পড়ে মারা গেলেও ওই পানি পবিত্র থাকবে এবং ব্যবহার করা ও খাওয়া জায়েজ হবে।
কীট যদি দূষিত বা বিষাক্ত হয়
তবে কোনো কীট যদি দূষিত বা বিষাক্ত হয়, ওই কীট পড়ে মারা যাওয়ার কারণে পানি দূষিত বা বিষাক্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে, ওই পানি পান করলে বা ব্যবহার করলে কোনো ক্ষতির আশংকা থাকে, তাহলে তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শরিরে প্রবাহিত রক্ত আছে এ রকম প্রাণী যেমন ইদুর, চিকা, বড় টিকটিকি, স্থলের ব্যাঙ ইত্যাদি পানিতে পড়ে মারা গেলে ওই পানি নাপাক হয়ে যাবে।
নিচে আরও জানুন
কীট-পতঙ্গ পানিতে পড়লে পানি নাপাক হয়
প্রশ্ন : শহরাঞ্চলে অনেক সময় পানি সাপ্লাই স্থগিত থাকে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণেও পানি পেতে অসুবিধা হয়। এ সমস্যার কারণে অনেকেই বাসায় বিভিন্ন পাত্রে পানি সংরক্ষণ করে রাখেন। কখনও কখনও পাত্রে তেলাপোকা, টিকটিকি, মশা-মাছি ইত্যাদি পোকামাকড় মরা পাওয়া যায়। কথা হচ্ছে, সংরক্ষিত পাত্রে এভাবে পোকামাকড় মরে পড়ে থাকলে এবং ওয়াক্তের ভেতর অন্য পানির ব্যবস্থা না হলে কী করতে হবে? তা ছাড়া পাত্রের এ পানির হুকুম কী? তা কি অজু-গোসল কিংবা কাপড় ধোয়া ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করার সুযোগ আছে?
উত্তর : এসব পোকামাকড়ের যেহেতু প্রবাহিত রক্ত নেই তাই কোনো পাত্রে এসব প্রাণী পড়ে মরে গেলেও পাত্রের পানি নাপাক হবে না; বরং তা পবিত্রই থাকে। তাই চাইলে এ পানি অজু-গোসল ও অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। পাত্র বা পানি ভিন্ন উপায়ে পবিত্রকরণেরও প্রয়োজন নেই। শুধু মৃতদেহ ফেলে দিলেই হবে। (দারাকুতনি : ১/৩৭; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা : ৬৫৭; কিতাবুল আসল : ১/২৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১/৩৩৪; আলবাহরুর রায়েক : ১/৮৮)
যে সকল বস্তু মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে গেলে অজু নষ্ট হয় অথবা গোসল ফরজ হয়, ঐ সকল বস্তু নাজাসাতে গলিজা। যেমন- পায়খানা, প্রস্রাব, মনি, মজি, পূঁজ এবং মুখভর্তি বমি। হায়েজ, নেফাস এবং এস্তেহাযার রক্তও নাজাসাতে গলিজা।