নারীদের জন্য সফরের বিদ্বান
নারীদের জন্য সফরের বিদ্বান ইসলামে হজে যাওয়ার সামর্থ্য থাকলে জীবনে একবার হজ করা নারী পুরুষ সবার ওপরই ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা মক্কায়। যা বরকতময় ও হিদায়াত বিশ্ববাসীর জন্য।
তাতে রয়েছে স্পষ্ট নির্দশনসমূহ, মাকামে ইবরাহিম। আর যে তাতে প্রবেশ করবে,
সে নিরাপদ হয়ে যাবে এবং সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।
আর যে কুফরি করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আলে ইমরান: ৯৬, ৯৭)
নারীদের জন্য হজের মৌসুম
হজের মৌসুমে হজে যাওয়া-আসার খরচসহ সফরে থাকাকালীন দিনগুলোতে তার ও পরিবারের
লোকদের স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকলে এবং দৈহিকভাবে হজ করার সক্ষমতা থাকলে হজের সামর্থ্য প্রমাণিত হয় ও হজ ফরজ হয়।
কারো যদি কাবায় পৌঁছার সামর্থ্য থাকে কিন্তু তার হজের সফরের সময় পরিবার-পরিজনের দেখাশোনা ও ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা না থাকে, তার ওপর হজ ফরজ হবে না।
একইভাবে কারো যদি হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গের কোনোটি বিকল হয় বা কেউ যদি একা চলাফেরা করতে সক্ষম না হয়, তার ওপরও হজ ফরজ হবে না।
নারীদের জন্য মাহরাম পুরুষ
নারীদের ওপর হজ ফরজ হওয়ার জন্য হজের সফরে তার সাথে যাওয়ার মতো মাহরাম ব্যক্তি থাকাও জরুরি।
মাহরাম না থাকলে সম্পদশালী নারীর জন্য নিজে গিয়ে হজ করার আবশ্যকতা থাকে না।
কোনো নারীর কাছে যদি শুধু নিজের হজে যাওয়ার মতো সম্পদ থাকে,
তার সাথে হজের সফরে যাওয়ার মতো সামর্থ্যের অধিকারী কোনো মাহরাম না থাকে, তাহলে তার ওপরও হজে যাওয়া ফরজ নয়।
এ অবস্থায় সে মাহরাম পুরুষের ব্যবস্থা হওয়ার অপেক্ষা করবে। মাহরাম পুরুষের ব্যবস্থা হলে তার সাথে গিয়ে হজ করবে।
মাহরাম পুরুষের ব্যবস্থা হওয়ার আগেই যদি ওই নারী শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যায়, তাহলে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ করাবে।
এ রকম অবস্থায় থাকা নারীদের কর্তব্য হলো অসিয়ত করে রাখা যেন হঠাৎ তার মৃত্যু হলে তার ওয়ারিশরা তার পক্ষ থেকে কাউকে দিয়ে বদলি হজ আদায় করিয়ে নেয়।
আরও জানতে ক্লিক করেন পুনরায় জীবিত