ড্রেসিং করা হাঁস-মুরগি
ড্রেসিং করা হাঁস-মুরগি বিভিন্ন জাতের হাঁস-মুরগি আমাদের দেশে ব্যাপক প্রচলিত খাবার।
হাঁস-মুরগি কিনে আমরা সাধারণত দোকানেই সেগুলোকে বিক্রেতাদের দিয়ে জবাই ও ড্রেসিং করাই।
ড্রেসিং যদি পরিচ্ছন্নতা মেনে করা হয় তবে তা হালাল। জবাই করার পর পর গরম পানিতে খুব অল্প সময় রাখা উচিত।
এতে যদি গোশতের মধ্যে মুরগির ভেতরকার ময়লা বা নাপাকির প্রভাব না পৌঁছায়, তবে তা হালাল।
বর্তমানে আমাদের দেশের দোকানগুলোতে সাধারণত অল্প কিছুক্ষণ গরম পানিতে চুবিয়ে তারপর মেশিনে চামড়া থেকে পালক ছাড়ানোর জন্য দেওয়া হয়।
এ পদ্ধতিতে মুরগি ড্রেসিং করা হলে তাতে ওই মুরগির গোশত খাওয়া নাজায়েজ বা মাকরুহ হবে না।
কারণ এ পদ্ধতিতে মুরগি গরম পানিতে যতটুকু সময় চুবিয়ে রাখা হয়, ততটুকু সময়ে হাঁস-মুরগির পালকসমূহের গোড়া কিছুটা নরম হয়, মুরগির ভেতরের নাপাকির প্রভাব গোশতে পৌঁছে না।
যদিও ড্রেসিং করার আগে মুরগির নাড়িভুড়ি বের করে ফেলা সবচেয়ে নিরাপদ, তাহলে গোশতে নাপাকি পৌঁছার সম্ভাবনা থাকে না।
হাঁস-মুরগি ড্রেসিংয়ের পদ্ধতি
এ পদ্ধতিতে ড্রেসিংয়ের সময় হাঁস-মুরগি নাপাক পানিতে চোবানো হলে রান্না করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিলে পবিত্র হয়ে যাবে।
নাপাক পানিতে চোবানোর কারণে ওই হাঁস বা মুরগি খাওয়া নাজায়েজ হবে না।
তবে যদি ড্রেসিংয়ের সময় হাঁস-মুরগি এত বেশি সময় উত্তপ্ত পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় যে হাস-মুরগির ভেতরের নাপাকীর প্রভাব ও গন্ধ গোশতের ভেতরে চলে যায়, তাহলে ওই হাস-মুরগির গোশত খাওয়া নাজায়েয হয়ে যাবে।
ড্রেসিং করা হাঁস-মুরগির সম্পর্কে প্রশ্ন
প্রশ্নের বিবরণ : আমি একটা ফার্মের মুরগী কিনার পর ডেসিং করি। ড্রেসিং করার পর একজন বলল,
মুরগিটি ডেসিং করার কারণে হারাম হয়ে গেছে। এর কারণে সে বলল, এই মুরগিটি যে গরম পানিতে চুবানো হয়েছে সে পানিতে অনেকগুলি মুরগি চুবানো হয়।
একবারে নাকি একটি মুরগি ড্রেসিং করতে হবে। তারপর নতুন পানি দিয়ে অন্য মুরগি ড্রেসিং করতে হবে? অন্যথায় এই মুরগি খাওয়া হারাম হবে। কথাটি কতটুকু সত্য?
উত্তর : বাসায় নিয়ে মুরগীটিকে ভালো করে নতুন পানি দিয়ে ধুয়ে খেতে পারবেন।
নাপাক পানিতে ড্রেসিং করা হলেও পরে পাক পানিতে আলাদাভাবে তিনবার ধোয়ার ফলে গোস্তগুলো পাক হয়ে গেছে।উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী