পবিত্র পোশাকে তাওয়াফ করা
পবিত্র পোশাকে তাওয়াফ করা তাওয়াফ শব্দের অর্থ ঘোরা বা প্রদক্ষিণ করা। পরিভাষায় তাওয়াফের নিয়ত করে পবিত্র
কাবা ঘরের হাজরে আসওয়াদের কোনা থেকে শুরু করে চারপাশে সাত বার ঘোরাকে তাওয়াফ বলা হয়।
তাওয়াফ হজ ও ওমরাহর অপরিহার্য আমল। ওমরাহর সময় পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফ করা ফরজ।
হজের সময় তাওয়াফে জিয়ারত করা ফরজ। আরাফায় অবস্থানের পর এ তাওয়াফ করতে হয়।
তাওয়াফের সময় পবিত্র পোশাকে থাকা সুন্নত। নাপাক কাপড়ে তাওয়াফ করা মাকরুহ। তাই পবিত্র পোশাকেই তাওয়াফ করা উচিত।
তবে পবিত্র পোশাকে তাওয়াফ করা যেহেতু ফরজ-ওয়াজিব নয়, তাই কোনো দুর্ঘটনার কারণে তাওয়াফের মাঝে যদি কারো পোশাক অপবিত্র হয়ে যায় যেমন অনেকে ছোট শিশুকে নিয়ে হজ-ওমরায় যান,
তাওয়াফের সময় তাকে কোলে রাখেন, এ সময় শিশু যদি প্রশ্রাব করে দেয়, ইহরামের কাপড় অপবিত্র হয়ে যায় এবং তাওয়াফকারী ওই অবস্থায়ই তাওয়াফ শেষ করে,
তাহলে তার তাওয়াফ হয়ে যাবে। এ কারণে কোনো সদকা বা জরিমানা ওয়াজিব হবে না।
হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি
হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। তাই সামর্থ্য থাকলে অযথা অবহেলা বা দেরি না করে দ্রুত হজ করে ফেলা উচিত। আল্লাহ বলেছেন,
নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা মক্কায়। যা বরকতময় ও হিদায়াত বিশ্ববাসীর জন্য। তাতে রয়েছে স্পষ্ট নির্দশনসমূহ, মাকামে ইবরাহিম।
আর যে তাতে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ হয়ে যাবে এবং সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।
আর যে কুফরি করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আলে ইমরান: ৯৬, ৯৭)
হজের মৌসুমে হজে যাওয়া
হজের মৌসুমে হজে যাওয়া-আসার খরচসহ সফরে থাকাকালীন দিনগুলোতে তার ও পরিবারের লোকদের
স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকলে এবং দৈহিকভাবে হজ করার সক্ষমতা থাকলে হজের সামর্থ্য প্রমাণিত হয় ও হজ ফরজ হয়।
কারো যদি কাবায় পৌঁছার সামর্থ্য থাকে কিন্তু তার হজের সফরের সময় পরিবার-পরিজনের দেখাশোনা ও ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা না থাকে,
তার ওপর হজ ফরজ হবে না। একইভাবে কারো যদি হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গের কোনোটি বিকল হয় বা কেউ যদি একা চলাফেরা কতে সক্ষম না হয়, তার ওপরও হজ ফরজ হবে না।