চেয়ারে বসে ইমামতির বিধান
চেয়ারে বসে ইমামতির বিধান ইমাম যদি জমিনে সিজদা করতে অক্ষম হয়, ইশারায় সিজদা করে, তাহলে তার ইমামতিতে জমিনে সিজদা করতে সক্ষম ব্যক্তির নামাজ শুদ্ধ হবে না।
তবে অসুস্থতার কারণে বসে নামাজ পড়লেও যদি জমিনে সিজদা করতে পারে, তাহলে তার ইমামতিতে সক্ষম ও সুস্থ ব্যক্তিদের নামাজ শুদ্ধ হবে।
চেয়ারে নামাজ আদায়কারী ইশারায় নামাজ আদায়কারী গণ্য হয়।
তাই চেয়ারে বসে নামাজ আদায়কারীর ইমামতিতে সুস্থ ব্যক্তির নামাজ আদায় শুদ্ধ হবে না।
ইমাম যদি আহত হওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ বাঁধে এবং অজু করার সময়ও ওই জায়গা ধোয়ার বদলে ব্যান্ডেজের ওপর মাসেহ করে,
তাহলে তার ইমামতিতে পূর্ণ অজুকারীদের নামাজ শুদ্ধ হবে।
ইমাম যদি অসুস্থতা বা পানি না পাওয়ার কারণে তায়াম্মুম করে তাহলে নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী তার ইমামতিতে অজুকারীদের নামাজ শুদ্ধ হবে।
যে ব্যক্তি রোগ, ভার কিংবা অন্য কোনো কারণে কিয়াম, রুকু, কিংবা সাজদাহ কোনোটিই করতে সক্ষম নয়।
তারা যেভাবে বসে তাদের পক্ষে সালাত আদায় করা সম্ভব হয় সেভাবেই আদায় করতে পারবেন।
কারণ আল্লাহ বলেন, “সুতরাং তোমরা যতটুকু সম্ভব ততটুকু আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর।” তাছাড়া আল্লাহ আরও বলেন, “আল্লাহ কোনো আত্মাকে তার সাধ্যের বাইরে কষ্ট দেন না”।
চেয়ারে বসে সালাত আদায়
নিয়ম হচ্ছে যে, যারা চেয়ারে বসে সালাত আদায় করবে তারা সরাসরি ইমামের পিছনে দাঁড়াবে না।
কারণ আশংকা করা হয় যে, ইমামের পিছনে দাঁড়ানোর ফলে কোনো কারণে যদি ইমাম কাউকে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হয় তবে ইমাম সাহেবকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে।
তাছাড়া কোনো পাঠ বা ঘোষণার সময় সে ইমাম ও অন্যান্য মুসল্লিদের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
যদি নফল সালাত হয় তবে সেটা পুরোটাই বসে পড়ার বিধান রয়েছে।
কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বাহনের উপর সালাত আদায় করা সাব্যস্ত রয়েছে।
তিনি বাহনের উপর ফরয সালাত আদায় করতেন না।
আর যে হাদীসে বলা হয়েছে যে, “যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করবে সে দাঁড়িয়ে আদায় করার অর্ধেক সালাত প্রাপ্ত হবে” সে হাদীসটি ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যার ওজর নেই।
পক্ষান্তরে যার ওজর রয়েছে তিনি বসে বড়লেও পূর্ণ সওয়াব প্রাপ্ত হবেন। [আল্লাহই ভালো জানেন]