লাইফ স্টাইল

ডাবের জল কেন খাবেন?

ডিহাইড্রেশনের মতো ঘাতক অসুখের ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞর।এই ‘প্রাকৃতিক পানীয়’ আমাদের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। তাই নিয়মিত ডাবের জল খেলে যেমন দেহে জলের ঘাটতি মেটে, ঠিক তেমনই ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও ফিরে আসে।

​১. ডায়ারিয়ার প্রকোপ বাড়ায়​
ডায়ারিয়ায় ভুগলে অত্যধিক পরিমাণে ডাবের পানি পান করতে হবে। আসলে ডাবের পানি ডায়ারিয়ায় মতো সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী। এই অসুখে আক্রান্ত রোগীরা ডাবের জলপান করলে দেহে ইলেকট্রোলাইটসের ব্যালেন্স ফেরে। তবে বারবার ডায়ারিয়ার সমস্যায় ভুগলে আবার ডাবের জল বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডাবের জলে রয়েছে ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ।

​২. পিছু নিতে পারে অ্যালার্জি​
অ্যালার্জি এক অদ্ভুত সমস্যা। ডাবের জলপান করার পরও অনেকে অ্যালার্জির শিকার হন। তাদের পেট খারাপ, পেট ব্যথা, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাদের ডাবের জল থেকে সুরক্ষিত দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।

​৩. বারবার প্রস্রাব পায়​
আসলে ডাবের জলে রয়েছে ডাইউরেটিক প্রপার্টিজ। ডাবের জল যতটা সম্ভব কম পান করতে হবে। বয়সকালে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়। তাই বয়স ৬০-এর গণ্ডি পেরলে ডাবের পানি একটু কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।

৪. ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্সের ভ্রুকুটি​
ডাবের জলে রয়েছে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। তাই দেহে এই দুই খনিজের অভাব মেটাতে এই পানীয়ের কোনও জুড়ি নেই। তাই দিনে ১ থেকে ২টির বেশি ডাবের পানি পান না করাই মঙ্গল।

৫. কিডনি ডিজিজ থাকলে সাবধান​
ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডাবের জল থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এই জলে উপস্থিত পটাশিয়াম কিডনির অসুখে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে হাইপারক্যালেমিয়ার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।

Related posts

কিডনি সুস্থ রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন?

Asma Akter

আঁকা-বাঁকা, উঁচু-নিচু, ফাঁকা দাঁত সোজা করার চিকিৎসা।

Asma Akter

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা শরীরের ক্ষতি

Asma Akter

Leave a Comment