নাম তার ‘নোয়াখালী কিং’। গলা, পেটে কালো ছোট ছোট ছোপ আকৃতির দাগ যেন তার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাকে দেখতে আশপাশের গ্রামের লোক প্রতিদিন ভিড় জমায়। ‘নোয়াখালী কিং’ বড় হয়েছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার স্টিলব্রিজ-সংলগ্ন হোনার বাড়িতে।
‘নোয়াখালী কিং’ একটি ষাঁড়ের নাম। এর ওজন প্রায় ৫৭ মণ। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা। চরবংশীতে অজি উল্যার ছেলে মোহাম্মদ উল্যা তাঁর বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্মে লালন-পালন করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি।
গত সাড়ে তিন বছরে লালন-পালন করে ষাঁড়টিকে বড় করেছেন মোহাম্মদ উল্যা। বাড়িতেই এর দামদর করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এ পর্যন্ত দাম উঠেছে সাড়ে ২০ লাখ টাকা। ষাঁড়টি আজ দুপুরে ঢাকার গাবতলীর হাটে তুলতে নিয়ে যাবেন তিনি।
মোহাম্মদ উল্যা বলেন, মূলত দুধ বিক্রির জন্য তিনি গাভি পালন শুরু করেন। এ জন্য ২০১৮ সালে বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্ম নামের গরুর খামার গড়ে তোলেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভি কেনেন। তখন গাভির সঙ্গে থাকা বাছুরটির বয়স মাত্র চার দিন। তখন ষাঁড়টির ওজন বড়জোর ছিল এক থেকে দেড় মণ। তিন বছর পর সেই বাছুর আজ মস্ত ষাঁড়। খাবার হিসেবে দেওয়া হয় দেশি গমের ভুসি, ভুট্টার গুঁড়া, ধানের খড় ও কাঁচা ঘাস। প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয় তাঁর গরুটি লালন-পালনে।
রায়পুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ষাঁড়টির পুরো দেহের পরিমাপ করে দেখা হয়েছে। এর ওজন প্রায় ৫৭ মণ। গড়ে ২ হাজার ৩০০ কেজি মাংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘নোয়াখালী কিং’ নামের গরুটি ইতিমধ্যে এলাকায় সাড়া ফেলেছে। এ ধরনের পশু কোরবানির পশুর হাটে বেশ আকর্ষণীয়।