গত মাসে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল হেরে যায় এবং পরদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যান তামিম ইকবাল। ৫ জুলাই সেই ম্যাচের ৩ দিন আগে বাংলাদেশ দল চট্টগ্রামে যায়। দীর্ঘ এই সময় তামিম আর আসেননি দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ হিসেবে খ্যাত মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মাঝের এই সময়টাতে অনেক ঘটনা পেরিয়ে তামিম এখন ফেরার প্রক্রিয়ায় আছেন। অবসর প্রত্যাহার করা তামিম ইংল্যান্ড থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এখন অবশ্য নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এবং আসন্ন এশিয়া কাপও খেলবেন না। সিদ্ধান্তটি নেওয়ার ৩ দিন পর রবিবার মিরপুরে আসেন তামিম। সবমিলিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় পর তিনি মিরপুর আসেন। অবশ্য কোনো ক্রিকেট কর্মকান্ডের জন্য আসেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। অন্য ক্রিকেটাররা যখন জিমে-ইনডোরে ফিটনেস ট্রেনিং ও ঝিরঝির বৃষ্টিতে ফুটবল খেলায় ব্যস্ত তখন তামিম মাঠে এসে বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগে যান। এরপর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে কিছু সময় কাটিয়ে মাঠ ছাড়েন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দুয়েক দিনের মধ্যেই তামিমের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা।
ইংল্যান্ডে কোমরের ব্যথা কাটিয়ে ওঠার জন্য দুই ডোজ ইনজেকশন নিয়েছেন তামিম। এরপর এক সপ্তাহের পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে। এখন হাল্কা ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করতে পারবেন তিনি। গত ৩১ জুলাই দেশে ফেরেন তামিম। এক সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রাম শেষ হয়ে গেছে এ বাঁহাতির। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে এখন তিনি হাল্কা ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করতে পারবেন তামিম। এসব নিয়েই মিরপুরে আলোচনা করেছেন তিনি। তার এই ট্রেনিংয়ের প্রক্রিয়া তামিমের চিকিৎসক টনি হ্যামন্ডের নির্দেশনা মোতাবেক ঠিক করে দেবেন বিসিবির চিকিৎসক ও ফিজিও–ট্রেনাররা। ইতোমধ্যেই সে বিষয়গুলো তামিমকে দিয়েছেন তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ণ অনুশীলন শুরু করতে পারবেন তামিম। ২০-২১ আগস্ট ঠিকঠাক অনুশীলন করতে পারবেন এটা আগেই জানা ছিল। ৩০ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ ছিল তার। এরপরও কম সময়ের মধ্যে এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া কিংবা খেলার ঝুঁকি নিতে চাননি তামিম। তাই দুটিই ছেড়ে দিয়ে আগামী মাসের শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের হোমসিরিজে পূর্ণ ফিট হয়ে ফিরতে চান তিনি।