লাইফ স্টাইলস্বাস্থ্য

অবহেলা-অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা অসুখ।

স্বাস্থ্য নিয়ে নারীরা কমবেশি উদাসীন। আবার অনেক সময় সংসার সামলাতে, অফিসের প্রেশারে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়ার সময়ও পান না তারা। তাই অবহেলা-অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা অসুখ।

শরীর থাকলে অসুস্থ হবেই। বিশেষ করে বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে যায়। নারীদের ক্ষেত্রে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জটিলতা আরও বাড়ে। এসবের পেছনের রয়েছে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস ও নিজের প্রতি দিনের দিনের পর দিন অযত্ন-অবহেলা। নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় যেসব টেস্ট করা দরকার চলুন জেনে নেওয়া যাক

:

ডায়াবেটিস ও প্রেশার
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডায়াবেটিসের সঙ্গে বয়সের সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে। তবে যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের বয়স ৩০ পেরিয়ে গেলেই নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। এ ছাড়া মাসে অন্তত একবার ফাস্টিং ও পিপি টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন হতে পারে এইচবিএ১সি টেস্টেরও। মাসে মাসে ব্লাড প্রেশারও পরীক্ষা করাতে হবে। মনে রাখতে হবে এসব অসুখ একবার হলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর গুরুতর ক্ষতি করে। তাই আগেই সতর্ক হতে হবে।
থাইরয়েড ও কোলেস্টেরল
নারীদের ক্ষেত্রে থাইরয়েডের সমস্যা খুবই বেশি। বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েড অসুখটি নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তাই বয়স ৩০ হলেই ৬ মাসে অন্তত একবার থাইরয়েড পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি রক্তের কোলেস্টেরল পরীক্ষা করাতে হবে। লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা জানা যায়।
ক্যানসার স্ক্রিনিং জরুরি
কিছু ক্যানসার রয়েছে যা শুধু নারীদের আক্রান্ত করে। এক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার ও সার্ভাইক্যাল ক্যানসার অন্যতম। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং করতে হবে। আবার সাভাইর্ক্যাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে করাতে হতে পারে এইচপিভি স্ক্রিনিং, প্যাপ স্মিয়ার ইত্যাদির টেস্ট।

হাড়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে
হাড়ক্ষয় নারীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ রোগ। বিশেষ করে হাঁটুতে তো প্রায় সবরাই সাধারণ সমস্যা। তাই বয়স ৩০ পেরিয়ে গেলেই ভিটামিন ডি৩ টেস্ট করাতে হবে। একইসঙ্গে ক্যালসিয়াম, বোন ডেনসিটি টেস্টও করতে হবে। অনেকে আবার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগেন। এই পরীক্ষার মাধ্যমে গাউট আর্থ্রাইটিস ধরা যায়।

চোখ এবং আরও কিছু পরীক্ষা
চোখ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বয়স ৩০ হলেই বছরে অন্তত একবার চোখের পরীক্ষা করাতে হবে। করাতে হবে গ্লুকোমার টেস্ট। পাশাপাশি সিবিসি, লিভার ফাংশন টেস্টও জরুরি। এসব টেস্টের রেজাল্টই বলে দেবে আপনি কতটা সুস্থ আছেন। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে সবার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

Related posts

জরায়ুমুখ ক্যানসার রোধে টিকাদান।

Asma Akter

অবিবাহিতদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি, বলছে গবেষণা

Mehedi Hasan

করলা জুস: পুষ্টি, উপকারিতা এবং এটি কীভাবে তৈরি করবেন

admin

Leave a Comment