ইসলাম ধর্ম

জাকাত দিতে হবে? হজের জন্য সঞ্চিত অর্থের।

Pickynews24

জাকাত ইসলামের পাঁচ রোকনের একটি। প্রত্যেক সম্পদশালী মুসলমানের অন্যতম ফরজ কর্তব্য হলো, প্রতি বছর তার বর্ধনশীল সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ দান করে দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

আর তোমরা নামাজ কায়েম কর ও জাকাত দাও এবং যে নেক আমল তোমরা নিজদের জন্য আগে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা করছ নিশ্চয় আল্লাহ তা দেখেন। (সুরা বাকারা: ১১০)

শরিয়ত নির্ধারিত সীমা অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের বেশি বর্ধনশীল সম্পদ হিজরি ১ বছর ধরে কারও কাছে উদ্বৃত্ত থাকলে তাকে সম্পদশালী গণ্য করা হয় এবং তার বর্ধনশীল সম্পদের ২.৫ শতাংশ বা ১/৪০ অংশ দান করতে হয়।

কেউ যদি কোনো প্রয়োজনে অর্থ জমা করতে থাকে যেমন হজ করা, ঘর-বাড়ি বানো, ছেলে-মেয়ের বিয়ে-শাদি ইত্যাদি, ওই অর্থও জাকাতযোগ্য সম্পদ গণ্য হয়। ওই অর্থ পৃথকভাবে অথবা অন্য বর্ধনশীল উদ্বৃত্ত সম্পদের সাথে মিলে যদি শরিয়ত নির্ধারিত সীমা বা নেসাব পরিমাণ হয় এবং নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর এক বছর অতিবাহিত হয়, তাহলে সেই অর্থেরও জাকাত দিতে হবে। তবে এক বছর অতিবাহিত হওয়ার আগেই খরচ হলে ওই অর্থে জাকাত ফরজ হবে না।

জাকাত কাদের দিতে হবে সে সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,

اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡهَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُهُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰهِ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ

সদকা হচ্ছে দরিদ্র ও অভাবীদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; তা বণ্টন করা যায় দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা তওবা: ৬০)

Related posts

কেরাতের সাধারণ ভুলে নামাজ নষ্ট হয় না

Asma Akter

ইসলামে জুমার দিন সর্বশ্রেষ্ঠ দিন

Asma Akter

নামাজের সময়সূচি: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Asma Akter

Leave a Comment