কোরআনে আল্লাহ তার নবি নুহের (আ.) ঘটনায় উল্লেখ করেছেন, নুহ (আ.) তার জাতিকে বলেছিলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করো, ইস্তিগফারের বরকতে আল্লাহ বৃষ্টি দান করবেন, তোমাদের সম্পদ ও সন্তান সন্ততিতে বরকত দান করবেন। আল্লাহ বলেন,
فَقُلۡتُ اسۡتَغۡفِرُوۡا رَبَّکُمۡ اِنَّهٗ کَانَ غَفَّارًا یُّرۡسِلِ السَّمَآءَ عَلَیۡکُمۡ مِّدۡرَارًا وَّ یُمۡدِدۡکُمۡ بِاَمۡوَالٍ وَّ بَنِیۡنَ وَ یَجۡعَلۡ لَّکُمۡ جَنّٰتٍ وَّ یَجۡعَلۡ لَّکُمۡ اَنۡهٰرًا
আর বলেছি, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ: ১০-১২)
এ আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, দুনিয়ায় সমৃদ্ধি, হালাল রিজিক, সম্পদ ও সুসন্তান লাভের একটা উপায় হলো আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা।
রাসুল (সা.) প্রতি ফরজ নামাজের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়তেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) এ সহজ আমলটি আমরাও নিয়মিত করতে পারি। প্রতি নামাজের পর তিনবার পড়তে হবে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এ ছাড়া রিজিক বৃদ্ধির জন্য সকালে ও সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ুন। সাইয়েদুল ইস্তিগফার অর্থ শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এ ইস্তিগফার সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা যায় বা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তাহলে সে জান্নাতে যাবে। (সহিহ বুখারি)
সাইয়েদুল ইস্তিগফার হলো,