বিভিন্ন সূত্র বলছে, চার বছর ধরে ফোল্ডেবল ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে অ্যাপল। ডিভাইসগুলো নকশায় বারবার পরিবর্তন আনছে কোম্পানিটি। এখনো ফোল্ডেবল ডিভাইসের নকশা চূড়ান্ত হয়নি। ডিসপ্লে প্যানেল ও হিনজের (একধরনের কবজা, যা দুটি বস্তুকে সংযুক্ত করে) উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যাপল।ফোল্ডেবল ডিভাইসের দুনিয়ায় নতুন চমক আনবে অ্যাপল। স্যামসাং, ওয়ানপ্লাস, অপ্পো ও মটোরোলার মতো ফ্লোডিং ফোন নয়, কোম্পানিটি আনবে ফ্লোডিং আইপ্যাড। ২০২৪ সালের শেষে বা ২০২৫ সালের শুরুতে ফোল্ডেবল আইপ্যাড বাজারে আসতে পারে। ডিজিটাইমসের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট স্যামমোবাইলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
স্যামসাং ও এলজির ডিসপ্লে পেতে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে অ্যাপল। কোম্পানিটি ডিসপ্লের ভাঁজ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ডিসপ্লের ভাঁজ যেন বেশি দৃশ্যমান না হয়, এ জন্য অ্যাপল চেষ্টা করছে।
আরও সাধারণ ডিজাইনে হিনজকে তৈরি করতে চাইছে অ্যাপল। তবে অ্যাপল বেশি কর্মক্ষম, সাশ্রয়ী এবং সহজে প্রস্তুতযোগ্য হিনজ ডিজাইন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডিজিটাইম বলছে, দুটি কারণে ফোল্ডেবল আইফোনের পরিবর্তে ফোল্ডেবল আইপ্যাড তৈরি করবে অ্যাপল। প্রথম কারণ হলো–আইপ্যাডওস ফোল্ডেবল ডিভাইসের সঙ্গে বেশি কার্যকার। আইফোনের চেয়ে ট্যাবলেটের বাজার ছোট হওয়া এর দ্বিতীয় কারণ। তাই প্রথম ফোল্ডেবল ডিভাইস নিয়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলেও তা কোম্পানির ওপর বেশি প্রভাব ফেলবে না। সহজেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে অ্যাপল।
ট্যাবলেট বাজারে শীর্ষে রয়েছে অ্যাপল। যদিও চলতি বছরে অ্যাপলের ট্যাবলেট বিক্রি ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। কারণ বিশ্বে ট্যাবলেটের বাজার ছোট হয়ে আসছে। চলতি বছরে ট্যাবলেটের বাজারে বিক্রি ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। তবে ফোল্ডেবল আইপ্যাডের মাধ্যমে অ্যাপল বিশ্বের ট্যাবলেটের বাজারকে চাঙা করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।