আন্তর্জাতিকটেক নিউজতথ্যপ্রযুক্তিসর্বশেষ

ভারত প্রণোদনা দেবে টেলিকম পণ্য তৈরিতে ৪০০ কোটি রুপি

Pickynews24

অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে টেলিযোগাযোগ খাতের যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য চলতি অর্থবছরে ৪০০ কোটি রুপির বেশি বিতরণ করবে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। প্রডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) বা অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে উৎপাদন প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে এমন ২০ কোম্পানিকে এ অর্থ দেয়া হবে। খবর ইকোনমিকটাইমস।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে নকিয়া, জাবিল, ভিভিডিএন ও এইচএফসিএলও রয়েছে। ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণকারী ২০ কোম্পানিকে এ প্রণোদনা দেয়া হবে।

আরেক কর্মকর্তা জানান, এটি গৃহীত প্রকল্পের দ্বিতীয় বছর। তবে অনেক কোম্পানি প্রথমবারের মতো অর্থ সহায়তা পাবে। কেননা কোম্পানিগুলো সংশোধিত প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে টেলিকম ও নেটওয়ার্কিং খাতের পণ্য তৈরিতে পিএলআই স্কিমের বিষয়ে জানিয়েছে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সে সময় ১২ হাজার ১৯৫ কোটি রুপি ব্যয়ের কথা বলা হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর প্রকল্পে অংশ নেয়ার জন্য ৩১টি কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সময়সীমা অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে ৪ থেকে ৭ শতাংশ প্রণোদনা  দেয়া হয়। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরের জন্য ১ শতাংশ বেশি উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়।

বর্তমান হারের ওপর অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে গত এপ্রিলে ডিজাইননির্ভর উৎপাদন প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। এর জন্য ১২ হাজার ১৯৫ কোটি থেকে ৪ হাজার কোটি রুপি আলাদা করা হয় বলে জানা গেছে। কভিড-১৯ মহামারীর জন্য প্রযুক্তি খাতের সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। সে সময় অনেক কোম্পানিই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এ কারণে ভারত সরকার প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়ে দেয়।

সংশোধিত প্রকল্পে ৪২টি কোম্পানিকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ২৮টি ছিল ক্ষুদ্র ও মাঝারি। সম্মিলিতভাবে সে সময় ৪ হাজার ১১৫ কোটি রুপি বিনিয়োগের অঙ্গীকার করা হয়। পিএলআই স্কিমের অধীনে বিদ্যমান কোম্পানিগুলোকে আরো পণ্য যুক্ত করার এবং পুনরায় আবেদনের অনুমতি দেয়া হয়। এছাড়া পাঁচ বছরের পিএলআই স্কিমের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও দেয়া হয়েছিল। ২২টি কোম্পানি এ সুযোগ নিয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

টেলিকম খাতের সরঞ্জাম নির্মাতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করছে ভারত সরকার। কেননা এটি মূল খাত। পিএলআই স্কিমের অধীনে তৈরি করা পণ্য বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। এ সরঞ্জাম উৎপাদন উৎসাহিত করতে ভারত সরকার আমদানিকারকের জন্য কঠোর শুল্কনীতি গ্রহণ করে। এ কারণে অন্যদের পাশাপাশি রাউটার, মডেম ও সেট টপ বক্সের উৎপাদনকারীরাও সুফল পেয়েছে। অন্যদিকে ফাইভজি ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) পণ্য তৈরির জন্য সরকার কোম্পানিগুলোকে মুনাফা অর্জনের সুযোগ দিয়েছে।

Related posts

জাপানে ভয়াবহ ভুমিকম্পের সম্মুখীন হলেন জুনিয়র এনটিআর!

Suborna Islam

কবে আসছে বাংলাদেশে শাহরুখের ‘ডানকি’

Suborna Islam

ইন্টারনেট পুরো ঠিক হয়নি, সেবাদাতারা ভবনে ঢুকে পরিস্থিতি বুঝতে চান

Samar Khan

Leave a Comment