গত বৃহস্পতিবার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গেছেন। হিমুর কোনো ভাইবোন নেই। মা-ই ছিল সবকিছু। কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর হিমু একেবারেই একা হয়ে পড়েন। এখন অনেকের প্রশ্ন হিমুর সম্পত্তি তাহলে কে বা কারা পাবে? তবে সম্পত্তি নিয়ে মারা যাওয়ার আগে হিমু কিছু কথা বলেছিলেন।
উত্তরায় একটি ফ্ল্যাটে অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু একাই থাকতেন। তবে শোনা যায়, তার সঙ্গে ছিল মেকআপ ম্যান মিহির। তিনি মারা যাওয়ার আগে তার বিষণ্ণতার কথা বলেছিলেন শুটিংসেটে। এবং সম্পত্তির বিষয়েও কথা বলেছিলেন।
শুটিংসেটে সেদিনের কথা নিয়ে হিমুর সহকর্মী অভিনেত্রী স্বর্ণলতা দেবনাথ জানালেন, ‘মৃত্যুর কয়েকদিন আগে নিজের শেষ ইচ্ছের কথা শুটিংসেটে জানিয়েছিলেন হিমু আপু। তখনতো বুঝতে পারিনি সামনে কী হতে চলেছে।’
স্বর্ণলতা বলেন, ‘তিন থেকে চার মাস আগে ‘স্বপ্নের রানী’ শুটিং সেটের মেকআপ রুমে হিমু আপু হঠাৎ করেই বলছিল, ‘আচ্ছা আমি যদি মারা যাই বা চলে যাই তাহলে এই যে আমার গাড়ি, ফ্ল্যাটটা এটা কি আমি অনাথ আশ্রমে দিয়ে যেতে পারবো?’ আপুর মুখে এমন কথা শুনে আমরা সবাই বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম।’
একথা বলার পর হিমুকে সহকর্মীরা জিজ্ঞেস করেন কেন এসব কথা বলছে। তখন হিমু উত্তর দেয়, ‘মানুষের তো অনেক কিছু হতে পারে। আমার না আর বাঁচতে ইচ্ছে হচ্ছে না। আমি যদি মরে যাই তাহলে এগুলো অনাথ আশ্রমে দিয়ে যেতে চাই।’
স্বর্ণলতার ভাষায়, ‘তখন বুঝতে পেরেছিলাম, আপু একা থাকতে থাকতে অনেকটা ডিপ্রেসড হয়ে গেছেন। প্রথম প্রথম যখন তার সঙ্গে কাজ করতাম, তখন আপু বিগো অ্যাপসে অনেক ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু শেষের দিনগুলোতে তিনি অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিলেন। চুপচাপ থাকতেন। আমরা যে চঞ্চল হিমু আপুকে দেখেছি, শেষ সময়ে ওই চঞ্চলতা পাইনি তার মাঝে।’
হিমুকে নিয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান বলেন, ‘এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা নিশ্চিত নয়। তবে হিমু আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না। এর সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার।’