এ সময় ওয়াইল্ড টিম, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। তবে বাঘটি দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় বাঘের বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি।
সোনাতলা মডেল বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ও ভিটিআরটি সদস্য মো. মাহাবুব হাসান জানান, রোববার বিকেলে তিনি প্রথমে ভোলা নদীর পারের বাসিন্দা মজিবর হাওলাদারের বসতঘরের পেছনে লেকের পারে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। এসময় তিনি মাটি খুড়ে বাঘের পায়ের একটি ছাপ সংগ্রহ করেন। রাতে মসজিদের মাইকে বিষয়টি প্রচার করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন।
শরণখোলা ওয়াইল্ড টিমের ফিল্ড ফেসিলেটর আলম হাওলাদার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের বিভিন্নস্থানে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে। রোববার বিকেলে ও সোমবার সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাঘটিকে সরাসরি না দেখা গেলেও গত রাতে সোনাতলা গ্রামের মুজিবর হাওলাদারের বাড়ির পাশে বাঘের নড়াচড়া টের পেয়েছেন বাড়ির মানুষজন। এ সময় আমরা সেখানে পৌঁছালে আর বাঘটিকে দেখতে পাইনি। এর আগে রোববার ও সোমবার ওই বাড়ির পাশে ভোলা নদীর চরে এবং আশপাশের এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, সোনতলা গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখার পর ভোলা ফরেস্ট ক্যাম্পের বনরক্ষীদের খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন সুরক্ষায় নিয়োজিত সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের গ্রাম পাহারায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।