আমাজন বলছে, গ্রাহক রিভিউ জমা দেওয়ার প্রকাশের আগে কোম্পানির নিজস্ব এআই মডেল তা পর্যালোচনা করবে। কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশক মেনে ভুয়া বা নকল রিভিউ চিহ্নিত করবে।
এখন কিছু কিছু রিভিউ ম্যানুয়ালি পর্যালোচনা করা সম্ভব হয়। বেশিরভাগ রিভিউ পর্যালোচনা ছাড়া পোস্ট হয়। তবে আমাজন বলেছে, কোনো রিভিউ নকল বা ভুয়া হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হলে কোম্পানিটি একে খুব দ্রুত সরিয়ে ফেলে বা ব্লক করে। প্রয়োজনে গ্রাহকের রিভিউ করার ক্ষমতা বন্ধ, অ্যাকাউন্ট ব্লক এমনকি জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার মত পদক্ষেপও নিতে পারে কোম্পানি।
আমাজনের মেশিন লার্নিং মডেলগুলো বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করে। যেমন– পণ্যবিক্রেতা বাড়তি রিভিউ টানার মতো কোনো বিজ্ঞাপনে বিনিয়োগ করেছে কিনা, আপত্তিকর আচরণের কোনো অভিযোগ আছে কিনা এবং ঝুঁকিপূর্ণ আচরণসহ আরও অনেক কিছু অনুসন্ধান করে।
ডেটার মধ্যে অসংগতি খেয়াল করে এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএমএস)। এর মাধ্যমে ভুয়া রিভিউ চিহ্নিত করা যায়। জটিল সম্পর্ক ও আচরণের ধরন বুঝতে ও বিশ্লেষণ করতে কোম্পানিটি ডিপ গ্রাফ নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।
আমাজনের ফ্রড অ্যাবিউজ অ্যান্ড প্রিভেনশন বিভাগের সিনিয়র ডেটা সায়েন্স ম্যানেজার জোশ মিক বলেন, কোনটি আসল, কোনটি নকল রিভিউ তা বাইরের মানুষ বুঝতে পারে না। কোনো পণ্যে অনেক বেশি রিভিউ থাকতে পারে। কারণ বিক্রেতা হয়তো বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বা তখন সেটি কম দামে বিক্রি হচ্ছিল। আবার রিভিউয়ের ভাষা নিম্নমানের হলেও অনেক গ্রাহকের কাছে সেগুলো নকল মনে হতে পারে।
রিভিউ বেশি সন্দেহজনক হলে বা সত্যতা নিরূপণে বাড়তি প্রমাণ দরকার হলে দক্ষ বিশ্লেষকদের কাছে সাহায্য নেয় আমাজন।
২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ কোটি ভুয়া রিভিউ সরিয়ে ফেলে আমাজন।