চিয়া সিড একটি পুষ্টিকর খাবার। চিয়া সিড শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। চিয়া সিড শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিয়া সিড পানিতে মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যাবে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া যেকোনো ফলের শরবতের সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন চিয়া বীজ। সালাদের সাথেও মিশিয়ে নিতে পারেন চিয়া সিড।
আসুন জেনে নেই এর উপকারিতা সম্পর্কে-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: চিয়া বীজে থাকে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’ নামক এক প্রকার অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই উপাদানটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করা হয়।
প্রদাহ কমাতে: চিয়া বীজে থাকে ‘ক্যাফেইক অ্যাসিড’ নামক অপর এক প্রকার অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টি অক্সিড্যান্টটি প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ উপযোগী।
ত্বকের যত্ন: চিয়া বীজে এমন কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যেগুলো ত্বকের জ্বালা ভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে। পাশাপাশি পানিতে ভিজিয়ে খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কমে। ফলে শুষ্ক হয় না ত্বক।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে: সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসতে পারে চিয়া বীজ।
ওজন কমাতে:ওজন কমাতে চাইলে আপনার হাতের ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে চিয়া বীজ। এই বীজে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। এই ফাইবার কিন্তু দেহে বিপাকের হার বাড়িয়ে দেয়। আর বিপাকের হারের গতিবিধি বৃদ্ধি পেলেই ফ্যাট দ্রুত গলে যায়।এই বীজে থাকা প্রোটিন ও ফাইবারের মেলবন্ধনে খিদে কমে। এমনকী পেট ভরা থাকার অনুভূতি মেলে। তাই চটজলদি গোটা শরীরের ওজন কমে যায়।
তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেকের শরীর আলাদা। তাই সব খাবার সবার সহ্য নাও হতে পারে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিয়া বীজ নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন। তাই নিয়মিত এই খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।