কুকুরের শরীর নাপাক নয়। কুকুরের শরীরে লাগলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। পবিত্র পানি পড়ে কুকুরের শরীর ভিজলে ওই ভেজা শরীরে লাগলেও কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। তবে কুকুরের লালা নাপাক। কুকুর যদি কামড়ে ধরে, জিহ্বা দিয়ে চাটে বা অন্য যে কোনোভাবে কুকুরের লালা লাগলে কাপড় ও শরীর নাপাক হয়ে যাবে।
কোনো প্রয়োজন ছাড়া শখ করে কুকুর পোষা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে প্রয়োজন থাকলে যেমন বাড়িঘর, ক্ষেত-খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, অপরাধের উৎস অনুসন্ধান বা অপরাধী চিহ্নিত করা, শিকার করা ইত্যাদির জন্য কুকুর পোষা বৈধ। রাসুল সা. বলেছেন,
مَنِ اقْتَنَى كَلْبًا، لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ، وَلَا مَاشِيَةٍ، وَلَا أَرْضٍ، فَإِنّهُ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ قِيرَاطَانِ كُلّ يَوْمٍ.
যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পোষে ওই ব্যক্তির প্রতিদিন দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। (সহিহ মুসলিম: ১৫৭৫)
এ হাদিস এবং আরও কিছু হাদিসে সওয়াবের পরিমাণ বোঝাতে ‘কিরাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ‘কিরাত’ শব্দের অর্থ সম্পর্কে ইমাম নববি (রহ.) লিখেছেন, ‘‘কিরাত’ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ যা আল্লাহ তাআলা জানেন।’ অর্থাৎ বিনা প্রয়োজনে কুকুর পুষলে আমলনামা থেকে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু পরিমাণ সওয়াব কমে যেতে পারে