ইউরোপের বাজারেও কি কি পরিবর্তন এসেছে
চলতি বছর পুরো স্মার্টফোন বাজারই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময় সেলফোন বিক্রি ৬ শতাংশ কমেছে। তবে সংস্থাটির প্রত্যাশা ও পূর্বাভাস, আগামী বছর অঞ্চলটির স্মার্টফোন বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
২০২৪ সালে ইউরোপের স্মার্টফোন বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে এবং এ সময় বিক্রি ৭ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির বিশ্লেষকরা।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ইউরোপে ৩ কোটি ২০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে।বছরওয়ারি হিসাবে বিক্রি ৬ শতাংশ কমেছে এবং টানা ১০ প্রান্তিক ধরে নিম্নমুখী রয়েছে।
ক্যানালিসের গবেষণা বিশ্লেষক ব্র্যান্ডন গার্নি বলেন, ‘মধ্য ও উত্তর ইউরোপে রেডমি নোট ১২সহ বিভিন্ন মডেলের বিক্রি বেশি হওয়ায় শাওমি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। ইউরোপের বাজারে কোম্পানিটি ৬২ লাখ সেলফোন বিক্রি করেছে। বছরওয়ারি হিসাবে তা অপরিবর্তিত এবং কোম্পানির বাজার হিস্যা ১৯ শতাংশে উঠে এসেছে।
অন্যদিকে মটোরোলাও ইউরোপের বাজারে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বছরওয়ারি হিসাবে কোম্পানির সেলফোন বিক্রি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। টিসিএলের বিক্রি ৫ শতাংশ বেড়ে ৮ লাখ ইউনিট ছাড়িয়ে গেছে এবং কোম্পানিটি পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে।
২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বিক্রি ৬ শতাংশ কমেছে। তবে এর পরও ৩৫ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটি।
মিড থেকে হাইএন্ড বাজারে মনোনিবেশ করায় এ বাজারে ভালো অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে স্যামসাং। বিক্রি হওয়া ডিভাইসগুলোর মধ্যে রয়েছে এস২৩ আল্ট্রা, এস২৩, এ১৪, এ৫৩ ও এ৩৩। কোম্পানির ডিভাইসের গড় বিক্রি ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়েছে।
স্যামসাংয়ের পর তৃতীয় প্রান্তিকে ১৩ শতাংশ বিক্রি কমেছে কুপারটিনোর প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের। ২৩ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে ইউরোপের বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোম্পানিটি। পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ডিভাইস বাজারজাত অব্যাহত রাখার মাধ্যমে অ্যাপল ভালো অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে। বিশেষ করে প্রিমিয়াম সেগমেন্টে কোম্পানিটি এগিয়ে। যেখানে আইফোন ১৫ও ভালো ভূমিকা রেখেছে।
বছরের এ সময় শাওমির বাজার হিস্যা ছিল ১৯ শতাংশ। এ সময় কোম্পানির অবস্থায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। মিড রেঞ্জ সেগমেন্টে অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে কোম্পানি ভালো অবস্থানে ছিল। অঞ্চলটিতে শাওমির প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে সক্ষম বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।
প্রবৃদ্ধিতে ফিরতে ইউরোপ অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনাকারী স্যামসাং, অ্যাপল, শাওমি ও মটোরোলা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। তবে কোম্পানিগুলোকে বাজার পরিবর্তন, মজুদকৃত পণ্যের যথার্থ ব্যবহারের বিষয়ে ভাবতে হবে এবং বাজারে ভালো অবস্থান ধরে রাখার জন্য দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলেও জানানো হয়। বাজার যেহেতু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে তাই যেকোনো পরিবর্তনের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা।