আন্তর্জাতিকসর্বশেষ

কে পেলেন ‘বিশ্ব শিক্ষিকা’ র খেতাব?

global-teacher-pickynews24

ছোট থেকেই রিফত বুঝে গিয়েছিলেন, শুধু নিজে পড়াশোনা করলেই হবে না। সমাজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে হলে আরও মানুষকে শিক্ষিত করতে হবে। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হয়েও শিশুদের বিনা বেতনে পড়াতে শুরু করেন তিনি। ১৩ বছর বয়সে এলাকার গরিব বাচ্চাদের জড়ো করে তাদের পড়াতে শুরু করেন রিফত।

ধীরে ধীরে রিফতের পাঠশালায় শিশুদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। স্কুলের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। স্কুলের খরচ চালানোর জন্য খুব কম বয়সে একটি চাকরিও জুটিয়ে ফেলেন রিফত।

বহু বছরের চেষ্টায় ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে তহবিল সংগ্রহ করে একটা স্কুল খুলে ফেলেন রিফত। উদ্দেশ্য ছিল, আরও গরিব শিশুর কাছে বিনামূল্যে শিক্ষা পৌঁছানো। ২৬ বছরের প্রচেষ্টার পর রিফতের স্কুলে বর্তমানে প্রায় ২০০ জন গরিব পরিবারের সন্তান এবং পথশিশু পড়াশোনা করে।

২০২৩ সালে ‘গ্লোবাল টিচার’ হিসাবে মনোনীত হন রিফত। প্যারিসে গিয়ে ‘গ্লোবাল টিচার পুরুস্কার’ জয় করেন তিনি। গ্লোবাল টিচার পুরস্কারের মূল্য ১০ লাখ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১১ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা।

সেই টাকা আরও গরিব এবং দুঃস্থ শিশুর কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য খরচ করবেন বলেই জানিয়েছেন এই ‘বিশ্ব শিক্ষিকা’।

Related posts

সংবাদ বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করেছে গুগল

Suborna Islam

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের অতপর ২০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল করলো স্বামী

Samar Khan

শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও আসনের মানসম্মান রাখব:ফেরদৌস

Megh Bristy

Leave a Comment