মালয়েশিয়ায় স্বদেশিকে হত্যার দায়ে সোহেল নামের এক বাংলাদেশিকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির ফেডারেল আদালত।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক রায়ে তাকে ১২টি বেতের আঘাত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে হাইকোর্ট থেকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হলেও সোহেলকে আপিল করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট।
কোর্ট অফ আপিলের সভাপতি আবাং ইস্কান্দার জানান, সোহেলের আপিল আমলে নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড এবং বেতের ১২টি আঘাত দেওয়ার আদেশ দিয়েছে ফেডারেল আদালত।
সোহেলকে দোষী সাব্যস্ত করে রায়ে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারিতে আটক হওয়ার তারিখ থেকে এই সাজা কার্যকর করা হবে।
১৩ ডিসেম্বর দি সান অনলাইনে প্রকাশিত খবরের বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালা সেলাঙ্গোরের আলম জায়া জেরামে, পলাস কুমার (২৯) নামের এক বাংলাদেশি নির্মাণাধীন ভবনে হত্যার শিকার হয়। ভবনের ১০তলায় মাথাবিহীন লাশ এবং নিচতলায় মাথা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারের পর, সোহেল পুলিশকে সেখানে নিয়ে যায় যেখানে একটি কুড়াল এবং পোশাক লুকিয়ে রেখেছিল। এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর সোহেলকে (৩৮) দোষী সাব্যস্ত করে হাইকোর্ট।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটরকে মাঙ্গাই আদালতকে জানান, সোহেল তার দোষী সাব্যস্ততার বিরুদ্ধে আপিল প্রত্যাহার করবে এবং প্রতিরক্ষা ও প্রসিকিউশন উভয়ই একটি বিকল্প সাজা জমা দেবে।
সোহেলের কৌঁসুলি আমিরুল জামালুদ্দিন আদালতকে তার মক্কেলের মৃত্যুদণ্ড জেলের মেয়াদে পরিবর্তন করতে বলেন, যা দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি সংশোধনী যা বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে এবং বিচারকদের হেফাজতে সাজা দেওয়ার বিচার ক্ষমতা দিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডটি উস্কানির কারণে মুহূর্তের প্ররোচনায় ঘটেছে। পূর্বপরিকল্পিত নয় বলে জানান সোহেলের কৌঁসুলি আমিরুল জামালুদিন।