দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাত বিয়ে করা, মানবপাচার, ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলায় আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নিজেকে সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পরিচয় দিতেন। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ ও র্যাব ৫ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার বেলা ১২টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার জি. এম আবুল কালাম আজাদ, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল ওরফে আজাদ। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে।পুলিশ সুপার জানান, বিয়ের পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন অভিযুক্ত। তিনি করোনার সময় স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে এক কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার আরো জানান, শাহরিয়ার নাফিজ ইমন চুয়াডাঙ্গায় দুইটি, মেহেরপুরে দুইটি, ঝিনাইদহে দুইটি ও রাজবাড়ীতে একটি বিয়ে করেছেন। তিনি বিয়ের পর শ্বশুড়বাড়ি থেকেও মোটা অংকের টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাত করেছেন।
পাংশা মডেল থানায় এক ভুক্তভোগীর করা একটি প্রতারণা ও মানবপাচার আইনের মামলায় তাকে নাটোর জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় চারটি প্রতারণার মামলা চলছে।