আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন-
তুমরা- দুই, তিন বা চারটি বিয়ে করতে পারবে, তবে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে না পারলে একটি বিয়ে করতে হবে। অর্থাৎ এখানে ন্যায়সঙ্গত আচরণকে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। আর পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন যা একটি বিয়ের কথা বলেছে এবং আমরা জানি এই ন্যায়সঙ্গত আচরণ মেনে চলা খুব কঠিন।
কেননা, পবিত্র কুরআনের অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- ‘স্ত্রীদের মধ্যে পুরোপুরি ইনসাফ করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তোমরা চাইলেও এ ক্ষমতা তোমাদের নেই। কাজেই এক স্ত্রীকে এক দিকে ঝুলিয়ে রেখে অন্য স্ত্রীর প্রতি ঝুঁকে পড়বে না। যদি তোমরা নিজেদের কর্মনীতির সংশোধন করো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো, তাহলে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।’ (সূরা নিসা-১২৯)
আর রাসূলল্লাহ সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তির দু’জন স্ত্রী আছে সে যদি একজনের প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তাহলে সে কিয়ামতের দিন দেহের কেবল অর্ধাংশ (পঙ্গু হয়েই) নিয়েই উঠবে।’ (নাসায়ি-৩৯৪২, আবু দাউদ-২১৩৩, তিরমিজি-১১৪১, ইবনে মাজাহ-১৯৬৯)
ইসলামে বহুবিয়ে বিশেষ কয়েকটি কারণেই আল্লাহ অপশন হিসেবে দিয়েছেন-
১. স্ত্রী যদি স্বাস্থ্যগত কারণে সন্তান জন্মদানে অক্ষম মর্মে চিকিৎসা অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়, তখন সন্তানপ্রত্যাশী স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করবেন, এটিই স্বাভাবিক।
৫. একজন স্ত্রী হয়তো এতটা রুগ্ণ হতে পারে যে, তার সাথে তার স্বামী দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে তার একমাত্র উপায় হলো অন্য একজন নারীকে বিয়ে করা।