হামাস সশস্ত্র বাহিনীকে নির্মূল করতে গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। আর তাতেই গত ২৪ ঘণ্টায় ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের এয়ারস্ট্রাইকে গাজার একটি পরিবারের ৭০ জনেরও বেশি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরই মধ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক প্রতিনিধিও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের তরফে জানানো হয়েছে, ইসাম আল-মুগরাবি নামের ৫৬ বছরের এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী, পাঁচ সন্তান এবং তাঁর অনেক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে স্থল অভিযান জোরদার করেছে। সেনাবাহিনী হামাসের ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি ধ্বংস করেছে এবং প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। ইতিমধ্যে এবিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নেতানিয়াহু ইজরায়েল ও হামাস যুদ্ধের উদ্দেশ্য এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছেন। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা ইজরায়েলি সামরিক অভিযান সেই সঙ্গে সকল বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এদিকে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে তেল আভিভে আবারও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারের কাছে তাঁরা দাবি জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব গাজায় বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। গাজায় বর্তমানে ১২৯ জন বন্দি রয়েছেন, যার মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। পশ্চিম তীরের বেথলেহেম, নাবলুস, হেবরন ও তুলকারেমে ফের অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছিল হামাস গোষ্ঠী। সীমান্ত পেরিয়ে এসে অনেক ইজরায়েলিকে বন্দিও করে তাঁরা। এই ঘটনার পরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। গাজা স্ট্রিপের উত্তরাংশের শুরুতে হামলা চালালেও ধীরে ধীরে দক্ষিণ ও মধ্য গাজা অংশেও এয়ারস্ট্রাইক চালাচ্ছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। একাধিকবার যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ আসলেও মধ্য প্রাচ্যের এই যুদ্ধে এখনও মৃত্যুমিছিল অব্যাহত।