লাইফ স্টাইলসর্বশেষস্বাস্থ্য

মাঝে মাঝে কান্না করা কেন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

cry_pickynews

যখন খুব মন খারাপ থাকে বা যন্ত্রণা হয়, তখন একটু কেঁদে নিতে পারেন। এটা শুধু আবেগকে প্রশমিতই করে না- কঠিন সময়গুলো পার করার জন্য আমাদের শরীরকে তৈরি করে।

এর পেছনে কিন্তু কারণ রয়েছে। আসুন তা জেনে নিই।

আমাদের চোখ তিন ধরনের পানি তৈরি করে। রিফ্লেক্স অশ্রু চোখের ভেতরের যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য করে। বাসাল অশ্রু চোখকে সিক্ত রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু যেটিকে আমরা কান্না বলি, সেটি হলো- আবেগী অশ্রু।

সব ধরনের চোখের পানিতে এনজাইম ও প্রোটিন থাকলেও আবেগী অশ্রুতে হরমোনও থাকে, অনেকটা ব্যথানাশক এনডরফিনের মতো।

কেন এ কান্না?

কান্না আমাদের শরীর ও মন- দুটোর জন্যই উপকারি। কেননা, এটি বিভিন্নভাবে শরীরকে ডিটক্সিফাই বা বিষমুক্ত করে। যেমন ধরুন, সিগারেটের ভস্ম, ধুলো ও বালুর কণা কোনো কারণে চোখে ঢুকে থাকলে, কান্নার মাধ্যমে চোখ পরিষ্কার হয়ে যায়।

জীবাণুমুক্ত চোখ

একটানা কাঁদলে চোখে লুব্রিকেট হয়ে যায়। এরফলে সংক্রমণ ব্যাধির ঝুঁকি কমে। এছাড়া কান্না আসলে নেত্রনালী সতেজ করে তোলে এবং চোখে আরাম এনে দেয়।

দেহকে চাপমুক্ত করতেও কান্না বড় ভূমিকা রাখে। কান্না হৃদকম্পন কমায় ও চাপ তৈরি করা হরমোন শরীর থেকে বের করে দেয়।

তবে সব ধরনের কান্না কিন্তু উপকারী নয়। যারা একা একা কান্না করেন বা কান্নার পর তা নিয়ে অপ্রস্তুত বোধ করেন, কান্নার পর তারা সাধারণত আরও খারাপ বোধ করেন। তবে কান্নার সময় স্বান্তনা পেলে তারা পরবর্তী সময়ে ভাল বোধ করেন। এর কারণ মানুষ সামাজিক জীব এবং কান্না আমাদের সাহায্য করে কোনও কিছু সম্পর্কে আমাদের আবেগের তীব্রতা প্রকাশ করতে। কান্না মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় করতে পারে, চাপ দূর করে কষ্ট লাঘব করে। আপনার শুধু ঠিকভাবে কাঁদতে জানতে হবে।

Related posts

বিজ্ঞানীরা বলছেন,নারীরা মাইগ্রেনে আক্রান্ত হন বেশি

Asma Akter

‘মানুষের মস্তিষ্ক’ দিয়ে ড্রোন তৈরি করছে চীনা দল!

Megh Bristy

ফাঁস হয়েছে অঙ্কিতা- ভিকির অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও

Suborna Islam

Leave a Comment